Knowledge Sharer
ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jul 24, 2023
- Threads
- 520
- Comments
- 533
- Reactions
- 5,580
- Thread Author
- #1
দাড়ি রাখা ওয়াজিব।
রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গোঁফ ছোট করবে এবং দাড়ি বড় রাখবে’ (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯৩; সহীহ মুসলিম, হা/২৫৯; তিরমিযী, হা/৪৪২১)।
অন্যত্র দাড়ি লম্বা করে ও গোঁফ ছোট করে অগ্নিপূজকদের বিরুদ্ধাচরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (সহীহ মুসলিম, হা/২৬০; মুছান্নাফু ইবনি আবী শায়বাহ, হা/২৬০১৩)।
এমনকি মুসলিমদের স্বভাবগত দশটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গোঁফ ছোট করা ও দাড়ি লম্বা করা অন্যতম (সহীহ মুসলিম, হা/২৬১; আবূ দাঊদ, হা/৫৩; মিশকাত, হা/৩৭৯)। এভাবে দাড়ি লম্বা রাখার ব্যাপারে হাদীসে বিভিন্ন শব্দ এসেছে। যারা দাড়ি ছাটার ব্যাপারে ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর আমলকে দলীল হিসাবে উপস্থাপন করেন (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯২)।
কিন্তু এটা ঠিক নয়। কেননা সেটা তার ব্যক্তিগত আমল ছিল, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশসূচক হাদীসের উপর প্রাধান্য পায় না।
দাড়ি না রাখার পরিণাম অত্যন্ত ভয়বাহ। যেমন (ক) আল্লাহর অবাধ্যতা : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, পারস্যের স¤্রাট কিসরা ইয়ামানের শাসকের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। যাদের দাড়ি ছিল না আর গোঁফ ছিল বড়। তাদের এই অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেন। জিজ্ঞেস করেন, কে তোমাদের এমন করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা। তখন তিনি বলেন,
‘আল্লাহ তা‘আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যেন আমি দাড়ি লম্বা রাখি এবং গোঁফ ছোট রাখি’ (মুসনাদুল হারিছ, হা/৫৯২; ফিক্বহুস সীরাহ, পৃ. ৩৫৯, সনদ হাসান)।
(খ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ অমান্যকরণ : দাড়ি না রাখার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ সম্বলিত বিধানের বিরোধিতা করা হয়। যার পরিণাম জাহান্নামের আগুন (সূরা আল-জিন : ২৩)।
(গ) সুন্নাত থেকে বিচ্যুতি : আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী-রাসূলদের দাড়ি ছিল। পবিত্র কুরআনে হারূন (আলাইহিস সালাম)-এর দাড়ির বর্ণনা এসেছে (সূরা ত্বোহা : ৯৪)।
অনুরূপভাবে সর্বশেষ নবী, তাঁর খলীফাগণ, তাঁর সাহাবীগণ এবং পরবর্তীতে যুগের পর যুগে তাদের অনুসারী সালফে ছালেহীনদের পালনীয় সুন্নাত হল এই দাড়ি (উছায়মীন, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৬ তম খণ্ড, পৃ. ২৭)।
(ঘ) অমুসলিমদের অনুকরণ : দাড়ি কাটার মাধ্যমে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করা হয়। আর যারা যাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৭, সনদ হাসান)।
(ঙ) নারীদের অনুকরণ : দাড়ি না রাখার মাধ্যমে নারীদের মতো মুখাবয়ব বানানো হয়, যাতে প্রকরান্তরে তাদের অনুকরণ করাই হয়। এ সমস্ত ব্যক্তিদের উপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫; ইবনু মাজাহ, হা/১৯০৪; মিশকাত, হা/৪৪২৯)।
রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গোঁফ ছোট করবে এবং দাড়ি বড় রাখবে’ (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯৩; সহীহ মুসলিম, হা/২৫৯; তিরমিযী, হা/৪৪২১)।
অন্যত্র দাড়ি লম্বা করে ও গোঁফ ছোট করে অগ্নিপূজকদের বিরুদ্ধাচরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (সহীহ মুসলিম, হা/২৬০; মুছান্নাফু ইবনি আবী শায়বাহ, হা/২৬০১৩)।
এমনকি মুসলিমদের স্বভাবগত দশটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গোঁফ ছোট করা ও দাড়ি লম্বা করা অন্যতম (সহীহ মুসলিম, হা/২৬১; আবূ দাঊদ, হা/৫৩; মিশকাত, হা/৩৭৯)। এভাবে দাড়ি লম্বা রাখার ব্যাপারে হাদীসে বিভিন্ন শব্দ এসেছে। যারা দাড়ি ছাটার ব্যাপারে ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর আমলকে দলীল হিসাবে উপস্থাপন করেন (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯২)।
কিন্তু এটা ঠিক নয়। কেননা সেটা তার ব্যক্তিগত আমল ছিল, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশসূচক হাদীসের উপর প্রাধান্য পায় না।
দাড়ি না রাখার পরিণাম অত্যন্ত ভয়বাহ। যেমন (ক) আল্লাহর অবাধ্যতা : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, পারস্যের স¤্রাট কিসরা ইয়ামানের শাসকের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। যাদের দাড়ি ছিল না আর গোঁফ ছিল বড়। তাদের এই অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেন। জিজ্ঞেস করেন, কে তোমাদের এমন করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা। তখন তিনি বলেন,
إِنَّ اللهَ أَمَرَنِيْ أَنْ أُوَفِّرَ لِحْيَتِيْ وَأُحْفِيَ شَارِبِيْ
‘আল্লাহ তা‘আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যেন আমি দাড়ি লম্বা রাখি এবং গোঁফ ছোট রাখি’ (মুসনাদুল হারিছ, হা/৫৯২; ফিক্বহুস সীরাহ, পৃ. ৩৫৯, সনদ হাসান)।
(খ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ অমান্যকরণ : দাড়ি না রাখার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ সম্বলিত বিধানের বিরোধিতা করা হয়। যার পরিণাম জাহান্নামের আগুন (সূরা আল-জিন : ২৩)।
(গ) সুন্নাত থেকে বিচ্যুতি : আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী-রাসূলদের দাড়ি ছিল। পবিত্র কুরআনে হারূন (আলাইহিস সালাম)-এর দাড়ির বর্ণনা এসেছে (সূরা ত্বোহা : ৯৪)।
অনুরূপভাবে সর্বশেষ নবী, তাঁর খলীফাগণ, তাঁর সাহাবীগণ এবং পরবর্তীতে যুগের পর যুগে তাদের অনুসারী সালফে ছালেহীনদের পালনীয় সুন্নাত হল এই দাড়ি (উছায়মীন, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৬ তম খণ্ড, পৃ. ২৭)।
(ঘ) অমুসলিমদের অনুকরণ : দাড়ি কাটার মাধ্যমে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করা হয়। আর যারা যাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৭, সনদ হাসান)।
(ঙ) নারীদের অনুকরণ : দাড়ি না রাখার মাধ্যমে নারীদের মতো মুখাবয়ব বানানো হয়, যাতে প্রকরান্তরে তাদের অনুকরণ করাই হয়। এ সমস্ত ব্যক্তিদের উপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন (সহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫; ইবনু মাজাহ, হা/১৯০৪; মিশকাত, হা/৪৪২৯)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: