If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
(ক) আমাদের দাওয়াত ৩টি মৌলিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। (১) কুরআন (২) হাদীছ (৩) সালাফে ছালেহীনের অনুসরণ। যে ব্যক্তি মনে করবে যে, সে কেবল কুরআন ও হাদীছের অনুসরণ করবে। কিন্তু সালাফে ছালেহীনের মাসলাক অনুসরণ করবে না এবং বলবে যে, তাঁরাও মানুষ আমরাও মানুষ (তাই তাদের অনুসরণের প্রয়োজন নেই); সে গোমরাহীতে নিপতিত হবে।
(খ) সালাফে ছালেহীনের আক্বীদা অনুযায়ী আমরা মানুষের উপর কোন শারঈ আধিপত্য চাপিয়ে দিতে চাই না। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে বলেছেন, ‘তুমি তাদের উপর দারোগারূপে প্রেরিত হওনি’ (গাশিয়া ৮৮/২২)। সুতরাং আমরাও মানুষের উপর দারোগার ভূমিকায় অবতীর্ণ হ’তে পারি না। বরং আমরা সকলকে সেই বাক্যটিই বলতে চাই, ألْقِ كلمتَك وأَمشِ ‘তুমি তোমার বক্তব্য পেশ কর, অতঃপর চলে যাও’। তোমার মত অনুযায়ী পরিচালনার জন্য মানুষের উপর তরবারি দিয়ে ক্ষমতা বিস্তার করার অধিকার তোমার নেই। কারণ হক-এর নীতি হ’ল, الحق أبلج والباطل لَجْلَج ‘হক সর্বদা সুস্পষ্ট আর বাতিল অস্পষ্ট ও বক্রতাপূর্ণ’। আর সুনিশ্চিতভাবেই একথাটি দুনিয়ার সর্বাধিক সত্য বাক্য لا إله إلا الله -এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
(গ) দাঈকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যখন সে বুঝবে যে, তার প্রতিপক্ষ স্বীয় মতের উপর এমনই কঠোর, যে তার সাথে বিতর্কে যেয়ে কোন লাভ নেই এবং যদি সে ধৈর্য নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যেতে থাকে, তবে হয়ত অনাকাংখিত কিছু ঘটে যাবে, তখন বিতর্ক পরিত্যাগ করাই তার জন্য উত্তম হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ অধিকার থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া পরিত্যাগ করে, আমি জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহের যিম্মাদার হব’ (আবূদাঊদ হা/৪৮০০)।
(ঘ) রাসূল (ছাঃ) বলেন, إن بني إسرائيل لما هلكوا قصوا ‘নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলগণ কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনায় লিপ্ত হওয়ার কারণে ধ্বংস হয়েছিল’ (ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/১৬৮১)। এ হাদীছের ব্যাখ্যায় শায়খ আলবানী বলেন, সম্ভবত এটা এ কারণে বলা হয়েছে যে, তাদের আলেম ও বক্তাগণ জনগণকে ফিকহ এবং উপকারী জ্ঞানের পরিবর্তে অলীক কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনাকে গুরুত্ব দিয়েছিল এবং এই কাজকেই নেকআমল গণ্য করা শুরু করেছিল। ফলে তারা ধ্বংসে নিপতিত হয়েছিল। আজকের যুগের বহু গল্পকার বক্তাদেরও একই অবস্থা। যাদের অধিকাংশ বক্তব্যের বিষয়বস্ত্ত হ’ল ইসরাঈলী গাল-গল্প, হৃদয় গলানো বক্তব্যসমূহ এবং ছূফী ধ্যানধারণাভিত্তিক অলীক কাহিনী।
(খ) সালাফে ছালেহীনের আক্বীদা অনুযায়ী আমরা মানুষের উপর কোন শারঈ আধিপত্য চাপিয়ে দিতে চাই না। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে বলেছেন, ‘তুমি তাদের উপর দারোগারূপে প্রেরিত হওনি’ (গাশিয়া ৮৮/২২)। সুতরাং আমরাও মানুষের উপর দারোগার ভূমিকায় অবতীর্ণ হ’তে পারি না। বরং আমরা সকলকে সেই বাক্যটিই বলতে চাই, ألْقِ كلمتَك وأَمشِ ‘তুমি তোমার বক্তব্য পেশ কর, অতঃপর চলে যাও’। তোমার মত অনুযায়ী পরিচালনার জন্য মানুষের উপর তরবারি দিয়ে ক্ষমতা বিস্তার করার অধিকার তোমার নেই। কারণ হক-এর নীতি হ’ল, الحق أبلج والباطل لَجْلَج ‘হক সর্বদা সুস্পষ্ট আর বাতিল অস্পষ্ট ও বক্রতাপূর্ণ’। আর সুনিশ্চিতভাবেই একথাটি দুনিয়ার সর্বাধিক সত্য বাক্য لا إله إلا الله -এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
(গ) দাঈকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যখন সে বুঝবে যে, তার প্রতিপক্ষ স্বীয় মতের উপর এমনই কঠোর, যে তার সাথে বিতর্কে যেয়ে কোন লাভ নেই এবং যদি সে ধৈর্য নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যেতে থাকে, তবে হয়ত অনাকাংখিত কিছু ঘটে যাবে, তখন বিতর্ক পরিত্যাগ করাই তার জন্য উত্তম হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ অধিকার থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া পরিত্যাগ করে, আমি জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহের যিম্মাদার হব’ (আবূদাঊদ হা/৪৮০০)।
(ঘ) রাসূল (ছাঃ) বলেন, إن بني إسرائيل لما هلكوا قصوا ‘নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলগণ কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনায় লিপ্ত হওয়ার কারণে ধ্বংস হয়েছিল’ (ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/১৬৮১)। এ হাদীছের ব্যাখ্যায় শায়খ আলবানী বলেন, সম্ভবত এটা এ কারণে বলা হয়েছে যে, তাদের আলেম ও বক্তাগণ জনগণকে ফিকহ এবং উপকারী জ্ঞানের পরিবর্তে অলীক কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনাকে গুরুত্ব দিয়েছিল এবং এই কাজকেই নেকআমল গণ্য করা শুরু করেছিল। ফলে তারা ধ্বংসে নিপতিত হয়েছিল। আজকের যুগের বহু গল্পকার বক্তাদেরও একই অবস্থা। যাদের অধিকাংশ বক্তব্যের বিষয়বস্ত্ত হ’ল ইসরাঈলী গাল-গল্প, হৃদয় গলানো বক্তব্যসমূহ এবং ছূফী ধ্যানধারণাভিত্তিক অলীক কাহিনী।
ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব।