- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 347
- Comments
- 399
- Reactions
- 1,882
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: 'থার্টি ফার্স্ট নাইট ও হ্যাপি নিউ ইয়ার' সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? এগুলো পালন করা বা এ উপলক্ষে কাউকে শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ?
উত্তর:ইসলামে নববর্ষ পালন করা শরিয়ত সম্মত নয় বরং তা বিধর্মীদের অন্ধ অনুসরণ মাত্র। অথচ বহু হাদিসে অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং তাদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত বিভিন্ন বিষয়ে বিরুদ্ধাচারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. বলেছেন,
নববর্ষ হারাম হওয়ার জন্য এই হাদিসটি যথেষ্ট। উপরন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিগণ কখনো হিজরী নববর্ষ, খৃষ্ট নববর্ষ বা অগ্নিপূজকদের নওরোজ পালন করেননি।
ইসলামের নিজস্ব অত্যন্ত সমৃদ্ধ সভ্যতা ও সংস্কৃতি রয়েছে। মুসলিমদের জন্য দুটি জাতীয় উৎসব তথা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উপলক্ষে হালাল পন্থায় আনন্দ-উৎসব করা, একে অপরের জন্য দুআ করা, শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা, ভালো পোশাক পরিধান করা, ভালো খাবারের আয়োজন করা ইত্যাদি শরিয়ত সম্মত।
সুতরাং বর্ষবরণ বা নববর্ষ (চাই তা হিজরি, বাংলা অথবা ইংরেজি যাই হোক না কেন) উপলক্ষে শুভেচ্ছা লেনদেন করা, উইশ করা, ফানুস উড়ানো, শরীরে 'হ্যাপি নিউ ইয়ার', নববর্ষ ইত্যাদি লেখা অস্থায়ী ট্যাটু অংকন, পটকা ফোটানো, কনসার্ট, ডিজে পার্টি, নাচ-গান, খাবার-দাবার, উৎসব পালন অথবা কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা বা তাতে সহায়তা করা হারাম।
সৌদি আরবের জ্ঞান গবেষণা ও ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড) প্রদত্ত ফতোয়ায় বলা হয়েছে,
আল্লাহ আমাদেরকে অমুসলিমদের সংস্কৃতি এবং তাদের সব ধরনের অন্ধ অনুকরণ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তর:ইসলামে নববর্ষ পালন করা শরিয়ত সম্মত নয় বরং তা বিধর্মীদের অন্ধ অনুসরণ মাত্র। অথচ বহু হাদিসে অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং তাদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত বিভিন্ন বিষয়ে বিরুদ্ধাচারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. বলেছেন,
من مر ببلاد الأعاجم فصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت وهو كذلك، حشر معهم يوم القيامة.
“যে ব্যক্তি (অগ্নিপূজক) পারসিকদের দেশে গমন করে, অতঃপর তাদের নওরোজ (নববর্ষ) ও মেহেরজান (উৎসবের দিবস) পালন করে, আর তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং এ অবস্থাতেই মারা যায়, তাহলে কেয়ামতের দিন তার হাশর তাদের সাথেই হবে।” [বাইহাক্বী, খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ২৩৪; গৃহীত: ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ), আহকামু আহলিয যিম্মাহ, পৃষ্ঠা: ১২৪৮; ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুমাল্লাহ) হাদীসটিকে সাহীহ বলেছেন]নববর্ষ হারাম হওয়ার জন্য এই হাদিসটি যথেষ্ট। উপরন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিগণ কখনো হিজরী নববর্ষ, খৃষ্ট নববর্ষ বা অগ্নিপূজকদের নওরোজ পালন করেননি।
ইসলামের নিজস্ব অত্যন্ত সমৃদ্ধ সভ্যতা ও সংস্কৃতি রয়েছে। মুসলিমদের জন্য দুটি জাতীয় উৎসব তথা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উপলক্ষে হালাল পন্থায় আনন্দ-উৎসব করা, একে অপরের জন্য দুআ করা, শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা, ভালো পোশাক পরিধান করা, ভালো খাবারের আয়োজন করা ইত্যাদি শরিয়ত সম্মত।
সুতরাং বর্ষবরণ বা নববর্ষ (চাই তা হিজরি, বাংলা অথবা ইংরেজি যাই হোক না কেন) উপলক্ষে শুভেচ্ছা লেনদেন করা, উইশ করা, ফানুস উড়ানো, শরীরে 'হ্যাপি নিউ ইয়ার', নববর্ষ ইত্যাদি লেখা অস্থায়ী ট্যাটু অংকন, পটকা ফোটানো, কনসার্ট, ডিজে পার্টি, নাচ-গান, খাবার-দাবার, উৎসব পালন অথবা কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা বা তাতে সহায়তা করা হারাম।
সৌদি আরবের জ্ঞান গবেষণা ও ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড) প্রদত্ত ফতোয়ায় বলা হয়েছে,
لا تجوز التهنئة بالسنة الهجرية الجديدة، لأن الاحتفاء بها غير مشروع
“হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা জায়েজ নয়। কেননা নববর্ষকে অভ্যর্থনা জানানো শরিয়তসম্মত নয়।” [ফতোয়া নম্বর: ২০৭৯৫]আল্লাহ আমাদেরকে অমুসলিমদের সংস্কৃতি এবং তাদের সব ধরনের অন্ধ অনুকরণ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল