Salafi
Salafi User
- Joined
- Dec 31, 2024
- Threads
- 20
- Comments
- 28
- Reactions
- 249
- Thread Author
- #1
ইবনু আদ্ দায়লামী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছে আমি তাকে বললাম, তাক্বদীর সম্পর্কে আমার মনে একটি সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। তাই আপনি আমাকে কিছু হাদীস শুনান যাতে আল্লাহর মেহেরবানীতে আমার মন থেকে (তাক্বদীর সম্পর্কে) এসব সন্দেহ-সংশয় দূরীভূত হয়। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা যদি সমস্ত আকাশবাসী ও দুনিয়াবাসীকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করেন, তবে তা দিতে পারেন। এতে আল্লাহ যালিম বলে সাব্যস্ত হবেন না। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাঁর সৃষ্টজীবের সকলের প্রতিই রহমত করেন, তবে তাঁর এ রহমত তাদের জন্য সকল ’আমল হতে উত্তম হবে। সুতরাং তুমি যদি উহুদ পাহাড়সম স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান কর, তোমার থেকে তিনি তা গ্রহণ করবেন না, যে পর্যন্ত তুমি তাক্বদীরে বিশ্বাস না করবে এবং যা তোমার ভাগ্যে ঘটেছে তা তোমার কাছ থেকে কক্ষনো দূরে চলে যাবে না- এ কথাও তুমি বিশ্বাস না করবে, আর যা এড়িয়ে গেছে তা কক্ষনো তোমার নিকট আর আসবে না- এ বিশ্বাস স্থাপন করা ব্যতীত যদি তোমার মৃত্যু হয় তবে অবশ্যই তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
ইবনু আদ্ দায়লামী বলেন, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর এ বর্ণনা শুনে আমি সাহাবী ’আবদুল্লাহ ইবন মাস্’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও আমাকে এ কথাই প্রত্যুত্তর করলেন। তিনি বলেন, তারপর হুযায়ফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ)-এর নিকট যেয়েও জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও আমাকে একই প্রত্যুত্তর করলেন। এরপর যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর কাছে আসলাম। তিনি স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম করেই আমাকে একই ধরনের কথা বললেন।
তাক্বদীর আল্লাহর এক গোপন রহস্য, এবং এটিই তার স্থিরকৃত নিয়ম। আমাদের জন্য এ নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বরং বান্দা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো, আল্লাহ যে কাজগুলো আমাদের ওপর অর্পণ করেছেন, সেগুলো নিয়েই চিন্তা করা।
বান্দার প্রশ্ন হওয়া উচিত কী বা কেন নয়, বরং কিভাবে। কিভাবে আপনার সন্তুষ্টি পাব? কিভাবে আপনার চেহারা দর্শন করব? কিভাবে জান্নাতে পৌঁছাব?
এ সব প্রশ্নের উত্তর কুরআন ও হাদীসের পাতায় পাতায় বিদ্যমান। তাই নিজের মেধাকে সঠিক পথে ব্যয় করুন।
সর্বশেষ তাক্বদীর বিষয়ক এক বিদ্বানের কথা এনে শেষ করব।
মুমিন, আনন্দে আত্মহারা হয়না এবং বিপদে ধৈর্যহারা হয়না
ইবনু আদ্ দায়লামী বলেন, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর এ বর্ণনা শুনে আমি সাহাবী ’আবদুল্লাহ ইবন মাস্’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও আমাকে এ কথাই প্রত্যুত্তর করলেন। তিনি বলেন, তারপর হুযায়ফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ)-এর নিকট যেয়েও জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও আমাকে একই প্রত্যুত্তর করলেন। এরপর যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর কাছে আসলাম। তিনি স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম করেই আমাকে একই ধরনের কথা বললেন।
(আহমাদ, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্), সহীহ : আহমাদ ২১১৪৪, আবূ দাঊদ ৪৬৯৯, ইবনু মাজাহ্ ৭৭।
আল্লাহ তার নিজের নিয়মেই বিশ্ব পরিচালনা করেন, এবং তার এই নিয়মে কোনো পরিবর্তন নেই। তাকে কেউ প্রশ্ন করতেও পারবে না, কারণ তিনি সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী এবং সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। কিন্তু মানুষ তাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে না।তাক্বদীর আল্লাহর এক গোপন রহস্য, এবং এটিই তার স্থিরকৃত নিয়ম। আমাদের জন্য এ নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বরং বান্দা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো, আল্লাহ যে কাজগুলো আমাদের ওপর অর্পণ করেছেন, সেগুলো নিয়েই চিন্তা করা।
বান্দার প্রশ্ন হওয়া উচিত কী বা কেন নয়, বরং কিভাবে। কিভাবে আপনার সন্তুষ্টি পাব? কিভাবে আপনার চেহারা দর্শন করব? কিভাবে জান্নাতে পৌঁছাব?
এ সব প্রশ্নের উত্তর কুরআন ও হাদীসের পাতায় পাতায় বিদ্যমান। তাই নিজের মেধাকে সঠিক পথে ব্যয় করুন।
সর্বশেষ তাক্বদীর বিষয়ক এক বিদ্বানের কথা এনে শেষ করব।
মুমিন, আনন্দে আত্মহারা হয়না এবং বিপদে ধৈর্যহারা হয়না
ড. প্রফেসর মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব.
উক্ত কথার মূলভাব বিভিন্ন আছার দ্বারা প্রমাণিত
Last edited by a moderator: