মানহাজ তাকলিদ বিষয়ে সঠিক অবস্থান

Yiakub Abul Kalam

Altruistic

Uploader
Exposer
Salafi User
Joined
Dec 7, 2022
Threads
151
Comments
158
Reactions
1,360

তাকলিদ বিষয়ে সঠিক অবস্থান​


·
যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাকিহ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.) প্রদত্ত ফতোয়া—

·
প্রশ্নকারী: এমন কোনো তাকলিদ আছে কি, যা নিন্দনীয় নয়?
.

শাইখ: এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন। তোমার ইঙ্গিতকৃত লোকদের ব্যাপারে আমি স্পষ্টভাবেই বলি। এরা বলে, ‘এই হাদিস সহিহ।’ যদি বলা হয়, কীভাবে জানলে এই হাদিস সহিহ? উত্তর দেবে, ‘শাইখ আলবানি সহিহ বলেছেন!’ আবার বলবে, ‘এই হাদীসটি দুর্বল।’ ‘কীভাবে জানলে?’ জবাব দেবে, ‘শাইখ আলবানি দুর্বল বলেছেন।’

প্রশ্নকারী: তার মানে তারা ‘শাইখ নাসির’ এর মতো অনুরূপ আরও নাম উল্লেখ করে থাকে।

শাইখ: না, এটা বলব না (অস্পষ্ট – অনুবাদক)।

প্রশকারী: অর্থাৎ তাদের ইলমের পরিধি খুবই সামান্য!

শাইখ: এইতো বুঝতে পেরেছ। আমি তোমাকে এমন একটা তথ্য দেব, যাতে তুমি আশ্চর্য হয়ে যাবে! আল্লাহর অনুমতিক্রমে আমি সত্যই বলছি: অন্যান্য দাওয়াতের মতো সালাফি দাওয়াতও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যে বিষয়টির প্রতি তুমি কিছুপূর্বে ইঙ্গিত করেছ। সালাফি দাওয়াতের সাথে এমন কিছু মানুষ যুক্ত হয়েছে, যারা কোনো প্রকার (শরয়ি) বাধা ও বন্ধন ছাড়াই চলতে ভালোবাসে। নিজের ইচ্ছামতো সহিহ-জইফ নির্ণয় করে, হালাল হারাম বিচার করে, এটা ফরজ, এটা ওয়াজিব ইত্যাকার ফতোয়া দিয়ে বেড়ায়। এই ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি হিজাজে; এদের অনেকেই আবার মসজিদে হারামের সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বিপথগামিতার বলি হয়েছিল!

তোমার পাশে বসা লোকটাও জানেন যে, সালাফি ভাইদের মধ্যকার প্রাথমিক তালিবুল ইলম, এমনকি মাধ্যমিক স্তরের তালিবুল ইলমদেরও আমি নসিহত করি, কোনো ছোটখাটো পুস্তিকাও যেন কেউ না লিখে; আর একপর্যায়ে নিজের ব্যাপারে ভাবে, সে পরিপক্ব হয়েছে, আপন ভিত্তির ওপর বেড়ে ওঠে পরিণত হয়েছে বলশালীতে। হয়তো দেখা যাবে, কদিন পরেই আল্লাহ তাকে যতটুকু ইলম দিয়েছেন, সেগুলো থেকে (নিজ গবেষণায় শরিয়ত) প্রচার করা শুরু করবে! কারণ আমি ভালো করেই জানি, মানুষ অন্যান্য বস্তুর মতোই ছোটো থেকেই বেড়ে উঠতে শুরু করে, সে বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে পক্বতা লাভ করে।

তাই তালিবুল ইলমকে—বিশেষত সালাফি দাওয়াতের তালিবুল ইলমদেরকে—ইলমের যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে এগোতে হয়। কিন্তু কোনো কোনো তালিবুল ইলম শরিয়তের বিশদ বিবরণ ও হুকুম-আহকাম সম্পর্কে জানে না, সূক্ষ্মভাবে মুসতালাহুল হাদিস (হাদিসশাস্ত্রের পরিভাষা), ইলমুর রিজাল (হাদিস-বর্ণনাকারীদের জীবনচরিত) ইত্যাদি বিষয়ে কিছুই জানে না, তদুপরি এরা হুকুম দিতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে, অথচ তারা এখনও এর উপযুক্ত হয়নি।

এইসব ত্বরাপ্রবণ লোকদের ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে, (যাদের ব্যাপারে) আমি অন্যদের চেয়ে ভালো জানি। এরকম ত্বরাপ্রবণ লোকের জন্য তো এটা বলাই ঠিক নয় যে, আমি এই হাদিসকে সহিহ বলছি, এটাকে আমি জইফ বলছি, আমি এই মত পোষণ করি, যদিও অমুকের মত এইরকম। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বিচ্যুতি আজ খুবই প্রকট। তবে আমি এখানে আমার সাথে সিরিয়ার দেমাস্ক নগরীর কিছু ডক্টরদের একটি আলোচনা তুলে ধরতে চাই।

আমাদের কাছে ইলম তিন স্তরের। প্রথমত, যেগুলো কুরআনে উল্লিখিত হয়েছে। যেমনটি ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ তাঁর এক কবিতায় বলেছেন,

“ইলম তো সেটাই, যা বলেছেন আল্লাহ ও তদীয় রসুল এবং বলেছেন সাহাবিগণ, যাতে নেই কোনো প্রবঞ্চনা।
নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে রসুলের মাঝে আর কোনো ফাকিহর রায়ের মাঝে মতভেদ তৈরি করার নাম ইলম নয়।
আর সেটাও কখনো ইলম নয়, যার দরুন অস্বীকার করতে হয় ইলাহি সিফাতকে অস্বীকৃতি আর সাদৃশ্যদানের ভয়।” (যদ্দৃষ্ট – অনুবাদক)

প্রথম স্তরের ইলম হলো আল্লাহ ও তদীয় রসুলের কথা। দ্বিতীয় স্তর সাহাবিদের কথার অনুসরণ। আর তৃতীয় স্তরে রয়েছে তাকলিদ।

আমরা সালাফিরা, যারা তাকলিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে সুপরিচিত, আমি সেই সালাফিদের একজন হয়ে এই মত পোষণ করি যে, বিশেষ ক্ষেত্রে তাকলিদ অত্যাবশ্যক। বড়ো আলিমও শতভাগ তাকলিদ থেকে মুক্ত হতে পারেন না। তাকলিদ লাগবেই লাগবে।

কিন্তু আমাদের এই তাকলিদের প্রতি আহ্বান আর অন্যদের আহ্বানের মাঝে মৌলিক পার্থক্য হলো— অন্যরা তাকলীদকে দ্বীনের মূল বানিয়ে নিয়েছে, আর আমরা প্রয়োজনের তাগিদে এর অনুমোদন দিয়েছি।

অত্যন্ত সহজ ভাষায় একটা উদাহরণ দিই। আমরা বলি, শূকরের মাংস খাওয়া অনন্যোপায় হলে খাওয়া বৈধ। এখন কেউ বলতে পারে, আমরা শূকরের মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করি! এই দুই কথার মাঝে কত ব্যবধান। এই উদাহরণ কিন্তু বাস্তবে নেই, এমন কেউ নেই—আলহামদুলিল্লাহ—যে শূকরের মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চায়।

ওপরের উদাহরণে ‘শূকরের মাংস খাওয়ার’ মতোই হচ্ছে তাকলিদের অবস্থা। সুতরাং যারা তাকলিদকে দ্বীনের মূল বানিয়ে নিয়েছে, তাদের সাথে মিল রয়েছে ঐসব লোকদের, যারা হারাম বস্তু খাওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চায়। আর আমরা প্রয়োজনের তাগিদে তাকলিদের অনুমোদন দিয়েছি, মানুষ যেই জরুরি প্রয়োজনের সম্মুখীন হয়; আর এটা লাগবেই। ঠিক এই পয়েন্টটাই আমাদের মাঝে এবং এখনকার বেশিরভাগ শাইখদের মাঝে বিভেদরেখা।

উদাহরণস্বরূপ এখন আজহার বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়, “যেকোনো একজন আলেমের তাকলিদ ওয়াজিব।” আকিদাতুল জাওহারাহ গ্রন্থে রয়েছে এই কথা। এখনকার বেশিরভাগ আলিমই এই মতে চলেন। কিন্তু আমরা বলি, না, তাকলিদ হারাম। পক্ষান্তরে তারা বলে, ওয়াজিব। কিন্তু কখনো কখনো মানুষেে এই হারামেরও প্রয়োজন হয়। এমনটিই আমরা বুঝেছি এবং চয়ন করেছি ইমাম শাফিয়ি রাহিমাহুল্লাহর কথা থেকে। এই মহান ইমামের মর্যাদা তাঁর অনুসারীরাও আজতক দিতে পারেনি।

তিনি বলেছেন, “কিয়াসের প্রয়োজন আছে।” কিয়াস বলেছেন, তাকলিদ নয়; যদিও কিয়াস তাকলীদেরই একটা অংশ, যেই তাকলিদে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম পতিত হয়েছেন। কিয়াসের প্রয়োজন আছে। কেন? কারণ, মানুষ যখন (কোনো বিষয়ে) কুরআন, সুন্নাহর দ্ব্যর্থহীন স্পষ্ট দলিল কিংবা ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণের আমল না পায়, তখনই তো তার কিয়াসের প্রয়োজন হয়। সেজন্যই তো তিনি কিয়াসকে প্রয়োজনের তাগিদে বৈধ বলেছেন। আর এটাই মূলত ফিকহ, দ্বীনের আসল বুঝ। তদ্রুপ আমরাও বলি, তাকলিদ প্রয়োজনের তাগিদে বৈধ।

উপরিউক্ত দুই মতের ফলাফলের মাঝে অনেক দূরবর্তী ব্যবধান রয়েছে। আজকের শত শত ইসলামি লেখক, যারা অধুনা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং ইসলামি ফিকহের আলোকে সেগুলোর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা ইচ্ছা করলে তাদের শিক্ষকদের দেওয়া অনেক মাসয়ালা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে আগেকার আলিমদের কাছাকাছি কোনো মতামত বেছে নিতে পারে। ফলে কেউ একশতে একশ শাফিয়ি বা হানাফি থাকবে না, যেমনটি জাওহারাহ গ্রন্থে তাদের জন্য আবশ্যক করে দেওয়া হয়েছে, ‘যেকোনো একজন আলেমের তাকলিদ ওয়াজিব।’ যেহেতু তাকলিদ তাদের কাছে দ্বীনের মূল অংশ, সেহেতু তারা কেউ তাকলিদের গণ্ডি ছেড়ে বের হতে পারে না; কেননা এটা তাদের কাছে দ্বীন থেকে বের হওয়ার নামান্তর!

এখনকার বিভিন্ন সমস্যা তাদেরকে সেসব সমস্যা নিয়ে ইজতিহাদ করতে বাধ্য করে, কিন্তু তারা তো ভালোমতো ইজতিহাদও করতে পারে না, যেমনটি আমি তাদের কাউকে মুখোমুখি বলেছিলাম।

আমি তো বলি, পূর্বের ইজতিহাদি তথা গবেষণানির্ভর মাসআলাগুলো, যেগুলোতে প্রতিটা পক্ষের দলিলপ্রমাণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, বিস্তর গবেষণা করা হয়েছে; সেগুলোতেই যারা ইজতিহাদ (গবেষণা) করতে পারে না, তারা তো পূর্বের গবেষণাহীন নতুন বিষয় সম্পর্কে মোটেও ইজতিহাদ করতে পারবে না।

সুতরাং আমি স্পষ্টভাষায় ব্যক্ত করছি, আমি তাকলিদকে অস্বীকার করি না; তাকলিদকে দ্বীন বানিয়ে নেওয়াকেই কেবল আমি নাকচ করে থাকি। অর্থাৎ, যে তাকলিদ ছাড়াই চলতে পারবে, তার জন্য তাকলিদ হারাম। আর সাধারণ মানুষ তাকলিদ করতে বাধ্য, বিশেষ করে ইলমি স্থবিরতার এই যুগে। আলিমরাই যেখানে তাকলিদ করতে অনন্যোপায়, সাধারণ মানুষ তো তাহলে আরও বাধ্য।

তবে আমি বলি, তাকলিদ ও ইলমের—যেটা মূলত ইজতিহাদের পথ—মাঝে একটা সিঁড়ি আছে। মুহাদ্দিসগণ ও অন্য কিছু সালাফদের—যেমন ইবনে আব্দিল বার্র আল-আন্দালুসি—অনুসরণে আমরা এটাকে ‘ইত্তিবা’ বলে থাকি। তো ইত্তিবার এই স্তরটাকে আমরা বলতে পারি, দলিল জেনে কৃত তাকলিদ। আমরা বলব, এমনি মুকাল্লিদ আর দলিল জানা মুকাল্লিদ; দলিল জানা মুকাল্লিদ অবশ্যই দলিল না জানা মুকাল্লিদের চেয়ে উত্তম।

অতএব আমরা এখন মুসলিমদেরকে -যার মাঝে বিশেষ ও সাধারণ লোকরাও আছে- আহ্বান জানাই তাকলিদ নয়, বরং ইত্তিবার দিকে। কারণ এই প্রকার ইত্তিবা করাটাই মূলত মুমিনদের জন্য ওয়াজিব। মহান আল্লাহ বলেন, “আপনি বলে দিন, এটাই আমার পথ। আমি এবং আমার অনুসারীবর্গ জাগ্রতজ্ঞান সহকারে আল্লাহর প্রতি (মানুষদের) আহ্বান করি। আমি আল্লাহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।” [সুরা ইউসুফ: ১০৮]

সুতরাং যে ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে চায়, তার জন্য জাগ্রতজ্ঞানসহকারে তাঁর অনুসরণ করা আবশ্যক। এটা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্য নির্দিষ্ট নয়, বরং সকল মুসলিমের জন্য ব্যাপক। এই স্থবিরতা আর দীর্ঘকাল যাবৎ মুসলিমদের মাঝে চলমান মাজহাবি গোঁড়ামির দরুন তাকলিদই মূল দ্বীনে পরিণত হয়েছে, আর জাগ্রতজ্ঞানসহকারে অনুসরণ পরিণত হয়েছে দ্বীনবিরোধিতায়। এই সংক্ষিপ্ত প্রারম্ভিকার শেষে আমি এখন বলতে চাই, আরবি ভাষাগত দিক দিয়ে যে কিতাব ও সুন্নাহ বোঝার সক্ষমতা রাখে না, হাদিসের সহিহ-জইফ আলাদা করে জানে না, তার জন্য ইজতিহাদের স্তরে চড়ে বসা জায়েজ নয়। এটা তার জন্য, যিনি হলেন দলিল-সহ অনুসরণকারী। অন্যথায় তিনি মুকাল্লিদ রয়ে যাবেন।

এরপর এই মুকাল্লিদের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি কর্তব্য ধার্য হবে না। যেমনটি একদল লোক বলে থাকে যে, তাকে নির্দিষ্ট মাজহাব মানতে হবে। না! বরং সে মুসলিমদের উলামাদের মধ্যে যেকোনো আলিমের তাকলিদ করবে, যিনি তাকে কিতাব ও সুন্নাহ অনুযায়ী ফতোয়া দেবেন। খালাস!
পক্ষান্তরে তাকে কোনো একটি মাজহাবে স্থিতিগ্রহণ করতে বাধ্য করার বিষয়টি এমনই কর্তব্য, যেই কর্তব্য তার ওপর আরোপ করা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ আমার কথাই ধরুন। অর্ধশতক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে, আমি হাদিসশাস্ত্রের বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ মানুষ। অনেকসময় আমি বাধ্য হই স্রেফ এরূপ বলতে যে, বুখারি এমনটি বলেছেন! কেননা ওই হাদিসের সনদ পর্যালোচনা করা এবং তাকে সহিহ-জইফ বলার কোনো উপায় থাকে না আমার কাছে। হ্যাঁ, বুখারি বা আহমাদ বা অন্য কেউ যখন হাদিসের সনদ নিয়ে এসে হাদিসটিকে সহিহ বা জইফ হুকুম দেন, তখন আমার ধারণা মোতাবেক আমার এরকম সামর্থ্য থাকে যে, আমিও এ বিষয়ে গবেষণায় শরিক হতে পারি।

কিন্তু ইমাম বুখারি যখন কাটাসনদের মুআল্লাক হাদিস নিয়ে এসে সেটাকে সহিহ বলা দেন, তখন আমি তাঁর কথামতোই পথ চলি। তাঁর অনুগমন করার এ ব্যাপারটিকে আপনি তাকলিদ বলতে পারেন, আবার আপনি এটাকে ইত্তিবাও বলতে পারেন; এই ইত্তিবাকারীর (দলিল-সহ অনুসরণকারী) পরিস্থিতি অনুযায়ী। সে তো সর্বদা জাগ্রতজ্ঞানের ওপরই থাকতে চায়, কিন্তু এখানে তার সামনে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন আমাদের কাছে একটি কুরআনের দলিল রয়েছে, যাতে মুসলিম জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “তোমরা না জানলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো।” [সুরা নাহল: ৪৩]

অথচ সালাফিদের মধ্যে এমন মানুষও পাওয়া যায়, যাদের ব্যাপারে আমি জানি, যারা কিনা কুরআনের আয়াতও ভালো করে পড়তে পারে না, অথচ সেই আয়াত দিয়ে হুকুম পেশ করে। হায় সেই বিধান যদি আগে কেউ দিতেন! কারণ আমাদের মানহাজ হচ্ছে, আমরা কুরআন-সুন্নাহর কোনো দলিলকে এমনভাবে বুঝি না, যেভাবে আমাদের পূর্ববর্তী উলামায়ে সালাফদের কেউ বুঝেননি। ফতোয়া সমাপ্ত।


অনুবাদক: ইয়াকুব বিন আবুল কালাম
সম্পাদনা: শ্রদ্ধেয় আবদুল্লাহ মৃধা ভাই।
প্রকাশ: সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে (পেইজ)
 
Similar threads Most view View more
Back
Top