খারেজী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্য জানা অতীব জরুরী জিনিস। ইবন তাইমিয়্যাহ অনেক কিতাবে এ পার্থক্য তুলে ধরেছেন। শাইখুল ইসলাম বলেন, অনেকের নিকট খারেজী আর বিদ্রোহী একই রকম। তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন মাসআলা বের করে নিয়েছে। কিন্তু বস্তুত তা ভুল। কারণ বিশুদ্ধ কথা যার ওপর হাদীসের ইমাম, সুন্নার বিশেষজ্ঞ ও মদীনাবাসী রয়েছেন, যেমন, আওযা'ঈ, সাওরী, মালেক ও আহমাদ ইবন হাম্বল, তা হচ্ছে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। দেখুন, ফাতাওয়া (৮/৫৪৮-৫৪৯)।
ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, শরী'আর অনেক গ্রন্থকার ইমাম তাদের গ্রন্থে, যারা আকীদাহ ও আমল বিষয়ক মূলনীতির বাইরে যাওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে, যেমন যাকাত অস্বীকারকারী ও খারেজী সম্প্রদায়, এদের সাথে যুদ্ধের বিষয়টিকে, যারা ইমাম বা শাসকের বিরুদ্ধে বের হয়ে যুদ্ধে নেমেছে, যেমন, উষ্ট্রের যুদ্ধ ও সিফফীনের যুদ্ধ, তাদের সাথে একাকার করে আলোচনা করে থাকেন। এটা নিঃসন্দেহে ভুল। বরং কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা' বলে এ দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য করা উচিত। যেমনটি অধিকাংশ ফিকহের ইমাম, সুন্নাহ'র ইমাম, হাদীসের ইমাম, তাসাউফের নেতৃবর্গ, কালামশাস্ত্রের অভিজ্ঞ ও অন্যান্য ব্যক্তিরা বলে থাকে। [মাজমূ' ফাতাওয়া (২৮/৪৮৬-৪৮৭)]
অন্যত্র তিনি বলেন, যারা বিধি-বিধান সংক্রান্ত গ্রন্থ রচনা করেন, তারা বিদ্রোহী ও খারেজীদের একসাথে উল্লেখ করে থাকেন, অথচ বিদ্রোহীদের হত্যা করার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোনো হাদীস নেই, কেবল কাউসার ইবন হাকীম কর্তৃক নাফে' থেকে বর্ণিত হাদীস ছাড়া, যা বানোয়াট।
অপরদিকে হাদীসের ওপর রচিত গ্রন্থাবলি যেমন: সহীহ বুখারী, সুনান গ্রন্থসমূহ সেখানে শুধু মুরতাদ ও খারেজীদের হত্যার কথা বলা হয়েছে; কারণ তারা প্রবৃত্তির অনুসারী। অনুরূপভাবে সুন্নাহ বা আকীদাহ'র কিতাবসমূহে ইমাম আহমাদ ও অনুরূপ ইমামদের থেকে, অনুরূপভাবে আমার ধারণা মতে ইমাম মালেক ও তার সাথীদের গ্রন্থসমূহের কোথাও বিদ্রোহীদের হত্যা করার ব্যাপারে কোনো অধ্যায় বিন্যাস করা হয়নি। তারা তো শুধু মুরতাদ ও প্রবৃত্তির অনুসারী (খারেজী)দের বিষয়ে হাদীস আনার জন্য অধ্যায় বিন্যাস করেছেন।
বস্তুত এটিই হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত দ্বারা সাব্যস্ত মূলনীতি। তা হচ্ছে, যারা শরী'আত ও সুন্নাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, যা করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো ইমামের আনুগত্য না করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, কুরআন ও সুন্নাহ'র কোনো ভাষ্যে তা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়নি।
সুতরাং এ দু'টির মধ্যে পার্থক্য করা জরুরী। [ফাতাওয়া (৪/৪৫১)] অনুরূপ আরও দেখুন, মাজমূ' ফাতাওয়া (২০/৩৯৫), (২৮/৫০৩-৫০৪, ৫৪১ ) ।অনুরূপভাবে শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহকে খারেজী ও বাগী বা বিদ্রোহীদের মধ্যে পার্থক্য কী সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অত্যন্ত প্রশস্ত উত্তর প্রদান করেন, যাতে অনেক উপকারী তথ্য রয়েছে। [মাজমূ' ফাতাওয়া (৩৫/৫৩) ও তার পরের পৃষ্ঠাসমূহ]
ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, শরী'আর অনেক গ্রন্থকার ইমাম তাদের গ্রন্থে, যারা আকীদাহ ও আমল বিষয়ক মূলনীতির বাইরে যাওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে, যেমন যাকাত অস্বীকারকারী ও খারেজী সম্প্রদায়, এদের সাথে যুদ্ধের বিষয়টিকে, যারা ইমাম বা শাসকের বিরুদ্ধে বের হয়ে যুদ্ধে নেমেছে, যেমন, উষ্ট্রের যুদ্ধ ও সিফফীনের যুদ্ধ, তাদের সাথে একাকার করে আলোচনা করে থাকেন। এটা নিঃসন্দেহে ভুল। বরং কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা' বলে এ দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য করা উচিত। যেমনটি অধিকাংশ ফিকহের ইমাম, সুন্নাহ'র ইমাম, হাদীসের ইমাম, তাসাউফের নেতৃবর্গ, কালামশাস্ত্রের অভিজ্ঞ ও অন্যান্য ব্যক্তিরা বলে থাকে। [মাজমূ' ফাতাওয়া (২৮/৪৮৬-৪৮৭)]
অন্যত্র তিনি বলেন, যারা বিধি-বিধান সংক্রান্ত গ্রন্থ রচনা করেন, তারা বিদ্রোহী ও খারেজীদের একসাথে উল্লেখ করে থাকেন, অথচ বিদ্রোহীদের হত্যা করার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোনো হাদীস নেই, কেবল কাউসার ইবন হাকীম কর্তৃক নাফে' থেকে বর্ণিত হাদীস ছাড়া, যা বানোয়াট।
অপরদিকে হাদীসের ওপর রচিত গ্রন্থাবলি যেমন: সহীহ বুখারী, সুনান গ্রন্থসমূহ সেখানে শুধু মুরতাদ ও খারেজীদের হত্যার কথা বলা হয়েছে; কারণ তারা প্রবৃত্তির অনুসারী। অনুরূপভাবে সুন্নাহ বা আকীদাহ'র কিতাবসমূহে ইমাম আহমাদ ও অনুরূপ ইমামদের থেকে, অনুরূপভাবে আমার ধারণা মতে ইমাম মালেক ও তার সাথীদের গ্রন্থসমূহের কোথাও বিদ্রোহীদের হত্যা করার ব্যাপারে কোনো অধ্যায় বিন্যাস করা হয়নি। তারা তো শুধু মুরতাদ ও প্রবৃত্তির অনুসারী (খারেজী)দের বিষয়ে হাদীস আনার জন্য অধ্যায় বিন্যাস করেছেন।
বস্তুত এটিই হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত দ্বারা সাব্যস্ত মূলনীতি। তা হচ্ছে, যারা শরী'আত ও সুন্নাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, যা করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো ইমামের আনুগত্য না করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, কুরআন ও সুন্নাহ'র কোনো ভাষ্যে তা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়নি।
সুতরাং এ দু'টির মধ্যে পার্থক্য করা জরুরী। [ফাতাওয়া (৪/৪৫১)] অনুরূপ আরও দেখুন, মাজমূ' ফাতাওয়া (২০/৩৯৫), (২৮/৫০৩-৫০৪, ৫৪১ ) ।অনুরূপভাবে শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহকে খারেজী ও বাগী বা বিদ্রোহীদের মধ্যে পার্থক্য কী সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অত্যন্ত প্রশস্ত উত্তর প্রদান করেন, যাতে অনেক উপকারী তথ্য রয়েছে। [মাজমূ' ফাতাওয়া (৩৫/৫৩) ও তার পরের পৃষ্ঠাসমূহ]
আরও পড়ুন - ফাতওয়া আল হামাউইয়্যা