If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 665
- Comments
- 1,233
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,666
- Thread Author
- #1
সুন্নাহতে একথা প্রমাণিত যে, যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা বা সংকল্প করেছে তার জন্য ওয়াজেব; যুলহজ্জ মাস প্রবেশের সাথে সাথে কুরাবানীর পশু যবেহ না করা পর্যন্ত সে যেন তার দেহের কোন লোম বা চুল, নখ ও চর্মাদি না কাটে। এ বিষয়ে প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন, “যখন তোমরা যুলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করলে তখন সে যেন তার চুল ও নখ (কাটা) হতে কুরবানী না করা পর্যন্ত বিরত থাকে।” অন্য এক বর্ণনায় বলেন, “সে যেন তার (মরা বা ফাটা) চর্মাদির কিছুও স্পর্শ না করে।” (মুসলিম)
বলিষ্ঠ মতানুসারে এখানে এ নির্দেশ ওয়াজেবের অর্থে এবং নিষেধ হারামের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। কারণ, তা ব্যাপক আদেশ এবং অনির্দিষ্ট নিষেধ, যার কোন প্রত্যাহতকারীও নেই। (তফসীর আযওয়াউল বায়ান ৫/৬৪০, আল-মুমতে ৭/৫২৯)
কিন্তু যদি কেউ জেনে-শুনে ইচ্ছা করেই চুল-নখ কাটে তবে তার জন্য জরুরী যে, সে যেন আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তার জন্য কোন কাফ্ফারা নেই। কেবল সাধারণভাবে কুরবানীই করবে। আবার প্রয়োজনে (যেমন নখ ফেটে বা ভেঙ্গে ঝুলতে থাকলে বা মাথায় জখমের উপর চুল থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা হলে) কেটে ফেলতে কোন দোষ নেই। কারণ, সে মুহরিম (যে হজ্জ বা ওমরার জন্য এহরাম বেঁধেছে তার) অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যার জন্য অসুবিধার ক্ষেত্রে মাথা মুণ্ডিত করাও বৈধ করা হয়েছে।
এই নির্দেশের পশ্চাতে যুক্তি এই যে, কুরবানীদাতা কিছু আমলে মুহরিমের মতই। যেমন, কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যলাভ করা ইত্যাদি। তাই কুরবানীদাতাকেও মুহরিমের পালনীয় কিঞ্চিৎ কর্তব্য পালন করতে দেওয়া হয়েছে।
এমন কোন ব্যক্তি যার চাঁদ দেখার পর কুরবানী করার ইচ্ছা ছিল না, সে চুল বা নখ কেটে থাকলে এবং তারপর কুরবানী করার ইচ্ছা হলে তারপর থেকেই আর কাটবে না।
কুরবানী করার জন্য যদি কেউ কাউকে ভার দেয় অথবা অসীয়ত করে তবে সেও নখ-চুল কাটবে না। অবশ্য ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা অসী এই নিষেধের শামিল হবে না। অর্থাৎ তাদের জন্য নখ-চুল কাটা দূষণীয় নয়।
অনুরূপভাবে পরিবারের অভিভাবক কুরবানী করলে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল তার পক্ষে হবে। বাকী অন্যান্য স্ত্রী-পুত্র বা আত্মীয়দেরকে শামিল হবে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট কুরবানী না থাকলে তারাও চুল-নখ কাটতে পারে। যেহেতু আল্লাহর রসূল (ﷺ) নিজ বংশধরের তরফ থেকে কুরবানী করতেন অথচ তিনি তাদেরকে নখচুল কাটতে নিষেধ করেছেন এমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।
যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা করে পুনরায় হজ্জ করার নিয়ত করে (অর্থাৎ হজ্জও করে এবং পৃথকভাবে কুরবানীও করে) তবে এহরাম বাঁধার পূর্বে (যুলহজ্জের চাঁদ উঠে গেলে) চুল-নখাদি কাটা উচিত নয়। যেহেতু তা প্রয়োজনে সুন্নত, অবশ্য তামাত্তু হজ্জকারী (হজ্জের ওয়াজেব কুরবানী ছাড়া পৃথক কুরবানী দেওয়ার নিয়ত থাকলেও) উমরাহ শেষ করে চুল ছোট করবে। কারণ তা উমরার এক ওয়াজেব। অনুরূপ কুরবানীর দিনে পাথর মারার পর কুরবানী করার আগে মাথা নেড়া করতে পারে।
প্রকাশ যে, 'যারা কুরবানী করে না তারা কুরবানীর দিনে নখ-চুল ইত্যাদি কাটলে কুরবানী করার সওয়াব লাভ হয়' এমন কথা এক হাদীসে থাকলেও তা সহীহ নয়। (মিশকাত ১৪৭৯নং যয়ীফ আবু দাউদ ৫৯৫, যয়ীফ নাসাঈ ২৯৪, যয়ীফুল জামে' ১২৬৫নং)
পড়ুন: যুল হজ্জের তের দিন - PDF
বলিষ্ঠ মতানুসারে এখানে এ নির্দেশ ওয়াজেবের অর্থে এবং নিষেধ হারামের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। কারণ, তা ব্যাপক আদেশ এবং অনির্দিষ্ট নিষেধ, যার কোন প্রত্যাহতকারীও নেই। (তফসীর আযওয়াউল বায়ান ৫/৬৪০, আল-মুমতে ৭/৫২৯)
কিন্তু যদি কেউ জেনে-শুনে ইচ্ছা করেই চুল-নখ কাটে তবে তার জন্য জরুরী যে, সে যেন আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তার জন্য কোন কাফ্ফারা নেই। কেবল সাধারণভাবে কুরবানীই করবে। আবার প্রয়োজনে (যেমন নখ ফেটে বা ভেঙ্গে ঝুলতে থাকলে বা মাথায় জখমের উপর চুল থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা হলে) কেটে ফেলতে কোন দোষ নেই। কারণ, সে মুহরিম (যে হজ্জ বা ওমরার জন্য এহরাম বেঁধেছে তার) অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যার জন্য অসুবিধার ক্ষেত্রে মাথা মুণ্ডিত করাও বৈধ করা হয়েছে।
এই নির্দেশের পশ্চাতে যুক্তি এই যে, কুরবানীদাতা কিছু আমলে মুহরিমের মতই। যেমন, কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যলাভ করা ইত্যাদি। তাই কুরবানীদাতাকেও মুহরিমের পালনীয় কিঞ্চিৎ কর্তব্য পালন করতে দেওয়া হয়েছে।
এমন কোন ব্যক্তি যার চাঁদ দেখার পর কুরবানী করার ইচ্ছা ছিল না, সে চুল বা নখ কেটে থাকলে এবং তারপর কুরবানী করার ইচ্ছা হলে তারপর থেকেই আর কাটবে না।
কুরবানী করার জন্য যদি কেউ কাউকে ভার দেয় অথবা অসীয়ত করে তবে সেও নখ-চুল কাটবে না। অবশ্য ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা অসী এই নিষেধের শামিল হবে না। অর্থাৎ তাদের জন্য নখ-চুল কাটা দূষণীয় নয়।
অনুরূপভাবে পরিবারের অভিভাবক কুরবানী করলে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল তার পক্ষে হবে। বাকী অন্যান্য স্ত্রী-পুত্র বা আত্মীয়দেরকে শামিল হবে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট কুরবানী না থাকলে তারাও চুল-নখ কাটতে পারে। যেহেতু আল্লাহর রসূল (ﷺ) নিজ বংশধরের তরফ থেকে কুরবানী করতেন অথচ তিনি তাদেরকে নখচুল কাটতে নিষেধ করেছেন এমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।
যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা করে পুনরায় হজ্জ করার নিয়ত করে (অর্থাৎ হজ্জও করে এবং পৃথকভাবে কুরবানীও করে) তবে এহরাম বাঁধার পূর্বে (যুলহজ্জের চাঁদ উঠে গেলে) চুল-নখাদি কাটা উচিত নয়। যেহেতু তা প্রয়োজনে সুন্নত, অবশ্য তামাত্তু হজ্জকারী (হজ্জের ওয়াজেব কুরবানী ছাড়া পৃথক কুরবানী দেওয়ার নিয়ত থাকলেও) উমরাহ শেষ করে চুল ছোট করবে। কারণ তা উমরার এক ওয়াজেব। অনুরূপ কুরবানীর দিনে পাথর মারার পর কুরবানী করার আগে মাথা নেড়া করতে পারে।
প্রকাশ যে, 'যারা কুরবানী করে না তারা কুরবানীর দিনে নখ-চুল ইত্যাদি কাটলে কুরবানী করার সওয়াব লাভ হয়' এমন কথা এক হাদীসে থাকলেও তা সহীহ নয়। (মিশকাত ১৪৭৯নং যয়ীফ আবু দাউদ ৫৯৫, যয়ীফ নাসাঈ ২৯৪, যয়ীফুল জামে' ১২৬৫নং)
পড়ুন: যুল হজ্জের তের দিন - PDF