Abu Umar
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 664
- Comments
- 1,232
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,379
- Thread Author
- #1
যারা সালাফি মানহাজকে ধারণ করেন, তাদের কাছ থেকে জ্ঞানার্জনের ব্যাপারে শাইখ রাবিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন,
“যদি কেউ সালাফি মানহাজের উপরে থাকে, তার মাঝে কোনো ভ্রষ্টতা না থাকে এবং যদি সে সালাফি মানহাজের প্রতি আহ্বানকারী হয়, তবে তাঁর কাছ থেকেই জ্ঞানার্জন আবশ্যক। বাতিলপন্থিদের কাছ থেকে জ্ঞান নেওয়া হয়না!
সালাফগণ বলতেন, নিশ্চয়ই এ ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করছ, সে বিষয়ে সাবধান। কেউ যদি দীন সম্পর্কে কিছু বলত তাহলে তাকে বলা হতো, “তোমাদের লোকেদের নাম জানাও”। যদি তারা আহলুল বিদআহর অন্তর্ভুক্ত হতো, তাহলে তাদের থেকে কোনো প্রকার জ্ঞানার্জন করতেন না। আর যদি তারা আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হতো তাহলে তারা তাদের থেকেই জ্ঞানার্জন গ্রহণ করতেন।[1]
সুতরাং, আল্লাহর এই দীন পথভ্রষ্টদের থেকে গ্রহণ করা হয় না। কেননা, তারা হলো প্রতারক। তারা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে তাদের ভ্রষ্টতা প্রচার করবার জন্য।
তাই তালিবুল ইলমের জন্য অবশ্যকর্তব্য হচ্ছে, সে যেন অধ্যবসায়ের সাথে জ্ঞানার্জন করে। কেবল জ্ঞানের বিশুদ্ধতর ধারা থেকেই। সালাফি বইপুস্তক থেকেই। যারা এসমস্ত বইপুস্তক থেকে শিক্ষা দেন তাদের থেকেই। যারা নবি (ﷺ)-এর সুন্নাহ প্রচার ও প্রসার করে এমন আন্তরিক, সত্যবাদী ও উদ্দীপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই। যারা মানুষদের পথপ্রদর্শন করার ক্ষেত্রে এবং তাদেকে বিভ্রান্তিকর ও ধ্বংসাত্মক পথ গুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক, সত্যবাদী এবং উদ্দীপ্ত তাদের থেকেই।”[2]
হিযবিয়্যাহ তথা দলবাজির যথাযথ সংজ্ঞা
শাইখ রাবি [হাফিযাহুল্লাহ] লিখেছেন,
“নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে গোঁড়ামিপূর্ণ পক্ষাবলম্বন যা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহর বিপরীতে যায়, অথচ এর ভিত্তিতে মিত্রতা ও শত্রুতা করা হয় তা-ই হচ্ছে তাহাযযুব বা দলবাজি। তাহাযযুব সেটাও যদি তা কোনো সংগঠনের মধ্যে না থেকেও করা হয়। যদি এমন আচরণ কোনো সংগঠনের অংশ হিসেবে করা নাও হয়, তবুও তা তাহাযযুব।
পথভ্রষ্ট চিন্তাধারণা গঠন ও এর উপর মানুষকে একত্রিত করা - এটিই হচ্ছে হিযব বা দল। আর তা কোনো সংগঠনের নামে হোক বা না হোক।”[3]
[1] মুসলিম, আস-সহীহ, মুকাদ্দামাহ।
[2] রাবি, আল-লুবাব, ১৮৫ পৃষ্ঠা।
[3] রাবি, কাশফুস সিতার, ১৯-২০পৃষ্ঠা
“যদি কেউ সালাফি মানহাজের উপরে থাকে, তার মাঝে কোনো ভ্রষ্টতা না থাকে এবং যদি সে সালাফি মানহাজের প্রতি আহ্বানকারী হয়, তবে তাঁর কাছ থেকেই জ্ঞানার্জন আবশ্যক। বাতিলপন্থিদের কাছ থেকে জ্ঞান নেওয়া হয়না!
সালাফগণ বলতেন, নিশ্চয়ই এ ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করছ, সে বিষয়ে সাবধান। কেউ যদি দীন সম্পর্কে কিছু বলত তাহলে তাকে বলা হতো, “তোমাদের লোকেদের নাম জানাও”। যদি তারা আহলুল বিদআহর অন্তর্ভুক্ত হতো, তাহলে তাদের থেকে কোনো প্রকার জ্ঞানার্জন করতেন না। আর যদি তারা আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হতো তাহলে তারা তাদের থেকেই জ্ঞানার্জন গ্রহণ করতেন।[1]
সুতরাং, আল্লাহর এই দীন পথভ্রষ্টদের থেকে গ্রহণ করা হয় না। কেননা, তারা হলো প্রতারক। তারা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে তাদের ভ্রষ্টতা প্রচার করবার জন্য।
তাই তালিবুল ইলমের জন্য অবশ্যকর্তব্য হচ্ছে, সে যেন অধ্যবসায়ের সাথে জ্ঞানার্জন করে। কেবল জ্ঞানের বিশুদ্ধতর ধারা থেকেই। সালাফি বইপুস্তক থেকেই। যারা এসমস্ত বইপুস্তক থেকে শিক্ষা দেন তাদের থেকেই। যারা নবি (ﷺ)-এর সুন্নাহ প্রচার ও প্রসার করে এমন আন্তরিক, সত্যবাদী ও উদ্দীপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই। যারা মানুষদের পথপ্রদর্শন করার ক্ষেত্রে এবং তাদেকে বিভ্রান্তিকর ও ধ্বংসাত্মক পথ গুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক, সত্যবাদী এবং উদ্দীপ্ত তাদের থেকেই।”[2]
হিযবিয়্যাহ তথা দলবাজির যথাযথ সংজ্ঞা
শাইখ রাবি [হাফিযাহুল্লাহ] লিখেছেন,
“নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে গোঁড়ামিপূর্ণ পক্ষাবলম্বন যা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহর বিপরীতে যায়, অথচ এর ভিত্তিতে মিত্রতা ও শত্রুতা করা হয় তা-ই হচ্ছে তাহাযযুব বা দলবাজি। তাহাযযুব সেটাও যদি তা কোনো সংগঠনের মধ্যে না থেকেও করা হয়। যদি এমন আচরণ কোনো সংগঠনের অংশ হিসেবে করা নাও হয়, তবুও তা তাহাযযুব।
পথভ্রষ্ট চিন্তাধারণা গঠন ও এর উপর মানুষকে একত্রিত করা - এটিই হচ্ছে হিযব বা দল। আর তা কোনো সংগঠনের নামে হোক বা না হোক।”[3]
[1] মুসলিম, আস-সহীহ, মুকাদ্দামাহ।
[2] রাবি, আল-লুবাব, ১৮৫ পৃষ্ঠা।
[3] রাবি, কাশফুস সিতার, ১৯-২০পৃষ্ঠা