অন্যান্য কাবীরা ও সগীরা গুনাহের মধ্যে পার্থক্য

Abu UmarVerified member

If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
664
Comments
1,232
Solutions
17
Reactions
7,375
যখন কোনো মুসলিম কাবীরা গুনাহ ও সগীরা গুনাহের মধ্যে পার্থক্য জানতে চায় তখন সে যেন প্রমাণিত কাবীরা গুনাহের অনিষ্টতা উল্লেখ করে। কাবীরা গুনাহের চেয়ে কম অনিষ্টকর হলে তা হবে সগীরা গুনাহ। আর যদি কাবীরা গুনাহের সমান বা বেশী হয় তাহলে তা কাবীরা গুনাহ ।

তুলনামূলকভাবে জানা ও পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া গুনাহের অনিষ্টতা ও তা থেকে সংশোধন হওয়া সম্ভব নয়। যেমন- গালি-গালাজ করা, আল্লাহ অথবা রসূলকে গালি দেয়া, রসূলকে অপমান করা, আল্লাহ কিংবা তার রসূলকে মিথ্যারোপ করা, কা'বাকে অসম্মান করা, ময়লা-আবর্জনার স্থানে কুরআন নিক্ষেপ করা সবই কাবীরা গুনাহ যদিও এ ব্যাপারে শরীয়াতে সুস্পষ্ট দলিল বিদ্যমান নেই।

যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে হত্যাকারীর কবল থেকে উদ্ধার করলো অথবা কোনো সতী-সাধ্বী মহিলাকে ব্যভিচারীর কবল থেকে রক্ষা করলো সে ব্যক্তির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো দলিল নেই। ইয়াতিমের মাল ভক্ষণ করা কাবীরা গুনাহ, কিন্তু তার চাইতেও উপরের অনিষ্টতা অনেক বড়।

যে মুসলিমদের কোনো গোপনীয় বিষয় কাফিরদের অবগত করে যাতে মুসলিমদের হত্যা করা হয়, মহিলা ও শিশুদের গালি-গালাজ করা হয়, মুসলিমদের গৃহহীন করা হয়, তাদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হয় যেগুলো প্রমাণিত কাবীরা গুনাহ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করার চেয়েও মারাত্মক।

মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া ও ইয়াতিমের মাল ভক্ষণ করা কাবীরা গুনাহ। বেশী সম্পদের বেলায় এটা সুস্পষ্ট, তবে তুচ্ছ সম্পদের বেলায় তাতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আর এরূপ বাজে কর্ম বিচ্ছিন্নভাবেই কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যায় বিচার মারাত্মক, আর মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার কারণে অন্যায় বিচার সংঘটিত হলে তা হবে আরো মারাত্মক। পাপসমূহ কঠোরতা ও শিথীলতা, ক্ষতি ও অনিষ্টতা, ও সীমালঙ্ঘনতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top