New member
Forum Staff
- Joined
- Jun 29, 2025
- Threads
- 4,870
- Comments
- 0
- Reactions
- 2,076
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: যে শিশু বালেগ হওয়ার আগে থেকে রমজানের রোজা পালন করত। রমজান মাসের দিনের বেলায় সে বালেগ হল। তাকে কি সেই দিনের রোজা কাযা করতে হবে? একইভাবে রমজান মাসে দিনের বেলা যে কাফের ইসলাম গ্রহণ করল, যে নারী হায়েয থেকে পবিত্র হল, যে পাগল জ্ঞান ফিরে পেল, যে মুসাফির রোজা না-রাখা অবস্থায় স্বগৃহে ফিরে আসল, যে অসুস্থ ব্যক্তি রোজা ছিল না, কিন্তু সে সুস্থ হয়ে উঠল - এ সমস্ত ব্যক্তির জন্য সেই দিনের বাকি অংশ রোজাভঙ্গকারী বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা ও সেদিনের রোজার কাযা আদায় করা কি ওয়াজিব?
উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সবার ক্ষেত্রে একই হুকুম প্রযোজ্য নয়।এ ব্যাপারে আমরাআলেমগণের মতভেদও তাদের বক্তব্য (49008) নং প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেছি।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা যেতে পারে :
১)কোন শিশু যদি বালেগ হয়, কোন কাফির যদি ইসলাম গ্রহণ করে, কোন পাগল যদি জ্ঞান ফিরে পায়- তবে তাদেরসবার হুকুম এক। সেট হল- ওজর বা অজুহাত চলে যাওয়ার সাথে সাথে দিনের বাকি অংশে রোজা ভঙ্গকারী সমস্ত মুফাত্তিরাত হতে বিরত থাকা ওয়াজিব। কিন্তু তাদের জন্য সেই দিনের রোজা কাযা করা ওয়াজিব নয়।
২)অপরদিকে হায়েযগ্রস্ত নারী যদি পবিত্র হয়, মুসাফির ব্যক্তি যদি স্বগৃহে ফিরে আসে, অসুস্থ ব্যক্তি যদি আরোগ্য লাভ করে- এদের সবার হুকুম এক।এদের জন্য রোজা ভঙ্গকারী মুফাত্তিরাত হতে বিরত থাকা ওয়াজিব নয়। কারণ বিরত থাকাতে তাদের কোন লাভ নেই। যেহেতু সেই দিনের রোজা কাযা করা তাদের উপর ওয়াজিব।
প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য:
প্রথম গ্রুপের মধ্যে তাকলিফের তথা শরয়ি ভার আরোপেরসকল শর্তপাওয়াগেছে।শর্তগুলো হচ্ছে- বালেগ হওয়া, মুসলিম হওয়া ওআকল(বুদ্ধি) সম্পন্ন হওয়া।যখন থেকে তাদের উপর শরয়ি ভার আরোপ সাব্যস্ত হয়েছে তখন থেকেমুফাত্তিরাত তথা রোজা ভঙ্গকারী বিষয় হতে বিরত থাকা তাদের উপর ওয়াজিব; কিন্তুসেই দিনের রোজা কাযা আদায় করা তাদেরউপরওয়াজিব নয়।কারণ যখন থেকেতাদের উপর মুফাত্তিরাত (রোজা ভঙ্গকারী বিষয়) হতে বিরত থাকা ওয়াজিব হয়েছে তখন থেকে তারা তা থেকে বিরত থেকেছে। এর আগে তোতারারোজা পালনের ব্যাপারে মুকাল্লাফ (ভারপ্রাপ্ত) ছিল না।
উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সবার ক্ষেত্রে একই হুকুম প্রযোজ্য নয়।এ ব্যাপারে আমরাআলেমগণের মতভেদও তাদের বক্তব্য (49008) নং প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেছি।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা যেতে পারে :
১)কোন শিশু যদি বালেগ হয়, কোন কাফির যদি ইসলাম গ্রহণ করে, কোন পাগল যদি জ্ঞান ফিরে পায়- তবে তাদেরসবার হুকুম এক। সেট হল- ওজর বা অজুহাত চলে যাওয়ার সাথে সাথে দিনের বাকি অংশে রোজা ভঙ্গকারী সমস্ত মুফাত্তিরাত হতে বিরত থাকা ওয়াজিব। কিন্তু তাদের জন্য সেই দিনের রোজা কাযা করা ওয়াজিব নয়।
২)অপরদিকে হায়েযগ্রস্ত নারী যদি পবিত্র হয়, মুসাফির ব্যক্তি যদি স্বগৃহে ফিরে আসে, অসুস্থ ব্যক্তি যদি আরোগ্য লাভ করে- এদের সবার হুকুম এক।এদের জন্য রোজা ভঙ্গকারী মুফাত্তিরাত হতে বিরত থাকা ওয়াজিব নয়। কারণ বিরত থাকাতে তাদের কোন লাভ নেই। যেহেতু সেই দিনের রোজা কাযা করা তাদের উপর ওয়াজিব।
প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য:
প্রথম গ্রুপের মধ্যে তাকলিফের তথা শরয়ি ভার আরোপেরসকল শর্তপাওয়াগেছে।শর্তগুলো হচ্ছে- বালেগ হওয়া, মুসলিম হওয়া ওআকল(বুদ্ধি) সম্পন্ন হওয়া।যখন থেকে তাদের উপর শরয়ি ভার আরোপ সাব্যস্ত হয়েছে তখন থেকেমুফাত্তিরাত তথা রোজা ভঙ্গকারী বিষয় হতে বিরত থাকা তাদের উপর ওয়াজিব; কিন্তুসেই দিনের রোজা কাযা আদায় করা তাদেরউপরওয়াজিব নয়।কারণ যখন থেকেতাদের উপর মুফাত্তিরাত (রোজা ভঙ্গকারী বিষয়) হতে বিরত থাকা ওয়াজিব হয়েছে তখন থেকে তারা তা থেকে বিরত থেকেছে। এর আগে তোতারারোজা পালনের ব্যাপারে মুকাল্লাফ (ভারপ্রাপ্ত) ছিল না।