উসূলুল ফিকহ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বা একটি হাদীস এর সমার্থক সকল সহীহ বর্ণনাগুলো গ্রহণ করা ওয়াজিব।

Abu Umar

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
667
Comments
1,234
Solutions
17
Reactions
7,891
ইবনুল ক্বাইয়ীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/৭৬) ‘আশুরার দিবসে ছিয়াম রাখার আলোচনায় বলেছেন: শুধু নবম তারিখকে ছিয়ামের জন্য ধার্য করাটা এই বিষয়ের হাদীসগুলো না বোঝার ফল, এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলোর শব্দসমূহ ও সনদগুলো যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করার ফল, এই মতটি অভিধান ও শরী'আ থেকে অনেক দূরে, আল্লাহ বোঝার তাওফীক দান করুন।

ইবনুল ক্বাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (৯/২৫৬) যমীন ভাড়া নেওয়ার নিষেধাজ্ঞায় বর্ণিত রাফে' এর হাদীসের আলোচনায় বলেছেন: যে রাফে' বিন খাদীজ এর হাদীস গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, এর সনদগুলো একত্রিত করে একটিকে অপরটির সঙ্গে তুলনা করবে, সে জানতে পারবে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই বিষয়টি থেকে নিষেধ করেছেন, তা আসলে স্পষ্ট অন্যায়। আর তা হলো সীমালঙ্ঘনকারী অন্যায়মূলক মুঝারা আ বা বর্গা চাষ পদ্ধতি। কারণ, তিনি বলেছেন: আমরা যমীন ভাড়া দিতাম এই চুক্তিতে যে, এই পরিমাণ আমাদের আর এই পরিমাণ তাদের, কখনো এক পক্ষের দাবিকৃত ফসল উৎপন্ন হলেও অপর পক্ষের ফসল উৎপন্ন হতো না।

ইবনুল কাইয়্যীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/২৯৮) মক্কাবিজয় দিবসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কা'বা ঘরে প্রবেশ করা এবং যারা ঘটনাটির শব্দাবলি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে তিনি দুইবার কা'বা ঘরে প্রবেশ করেছেন বলে মত দিয়েছেন, তাদের মতকে খণ্ডন করতে যেয়ে বলেছেন:

এটা হলো দুর্বল বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাজ, যখন তারা শব্দের ভিন্নতা দেখতে পায়, সেটাকে একটা ভিন্ন ঘটনা বানিয়ে দেয়, যেমন তারা ইসরার ঘটনায় শব্দের ভিন্নতা দেখে সেটাকে একাধিকবার হওয়ার দাবি করেছে। আর জাবির থেকে তাঁর উট ক্রয়ের ঘটনাকেও শব্দের ভিন্নিতার কারণে একাধিকবার বলে দাবি করেছে। তারা বিদায়ী ত্বাওয়াফকেও দুইবার বলে দাবি করেছে প্রসঙ্গের ভিন্নতার কারণে। এমন অনেক ঘটনার ব্যাপারে তারা এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আর পারদর্শী পর্যবেক্ষকবৃন্দ এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখেন।

আলবানী সিলসিলা আদ্ব-দ্ব’য়ীফা গ্রন্থে (১/১৬২) আবূ বুরদাহ থেকে বর্ণিত একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী ছানা কুরবানী দেওয়ার হাদীসের বর্ণনাগুলো উদ্ধৃত করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী তোমার পরে - আর কারো জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী কুরবানী করা বৈধ হবে না। উল্লেখ - করার পরে বলেছেন: সকল বর্ণনাগুলো একত্র করলে সাধারণভাবে মনে হয় যে, শেষ শব্দে বর্ণিত জায’আ (অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী। আর ইবনু হাযম এই শব্দ (জায আ) থেকে সাধারণভাবে সকল জায'আ বা সকল অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী বুঝেছেন। বিধায় তার নিকট এই শব্দটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভেড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। যেই সিদ্ধান্তটি আসলে তার অত্যধিক বাহ্যিক অর্থ ও শব্দের উপরে অবিচলভাবে স্থবির হয়ে থাকার ফলে ঘটেছে, বর্ণনাগুলোকে একত্রিত করে সামষ্টিক দৃষ্টিতে কী অর্থ নির্ণীত হয়, সেই বিষয়টির দিকে তিনি দৃষ্টপাত করেননি।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
 
ইবনুল ক্বাইয়ীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/৭৬) ‘আশুরার দিবসে ছিয়াম রাখার আলোচনায় বলেছেন: শুধু নবম তারিখকে ছিয়ামের জন্য ধার্য করাটা এই বিষয়ের হাদীসগুলো না বোঝার ফল, এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলোর শব্দসমূহ ও সনদগুলো যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করার ফল, এই মতটি অভিধান ও শরী'আ থেকে অনেক দূরে, আল্লাহ বোঝার তাওফীক দান করুন।

ইবনুল ক্বাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (৯/২৫৬) যমীন ভাড়া নেওয়ার নিষেধাজ্ঞায় বর্ণিত রাফে' এর হাদীসের আলোচনায় বলেছেন: যে রাফে' বিন খাদীজ এর হাদীস গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, এর সনদগুলো একত্রিত করে একটিকে অপরটির সঙ্গে তুলনা করবে, সে জানতে পারবে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই বিষয়টি থেকে নিষেধ করেছেন, তা আসলে স্পষ্ট অন্যায়। আর তা হলো সীমালঙ্ঘনকারী অন্যায়মূলক মুঝারা আ বা বর্গা চাষ পদ্ধতি। কারণ, তিনি বলেছেন: আমরা যমীন ভাড়া দিতাম এই চুক্তিতে যে, এই পরিমাণ আমাদের আর এই পরিমাণ তাদের, কখনো এক পক্ষের দাবিকৃত ফসল উৎপন্ন হলেও অপর পক্ষের ফসল উৎপন্ন হতো না।

ইবনুল কাইয়্যীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/২৯৮) মক্কাবিজয় দিবসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কা'বা ঘরে প্রবেশ করা এবং যারা ঘটনাটির শব্দাবলি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে তিনি দুইবার কা'বা ঘরে প্রবেশ করেছেন বলে মত দিয়েছেন, তাদের মতকে খণ্ডন করতে যেয়ে বলেছেন:

এটা হলো দুর্বল বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাজ, যখন তারা শব্দের ভিন্নতা দেখতে পায়, সেটাকে একটা ভিন্ন ঘটনা বানিয়ে দেয়, যেমন তারা ইসরার ঘটনায় শব্দের ভিন্নতা দেখে সেটাকে একাধিকবার হওয়ার দাবি করেছে। আর জাবির থেকে তাঁর উট ক্রয়ের ঘটনাকেও শব্দের ভিন্নিতার কারণে একাধিকবার বলে দাবি করেছে। তারা বিদায়ী ত্বাওয়াফকেও দুইবার বলে দাবি করেছে প্রসঙ্গের ভিন্নতার কারণে। এমন অনেক ঘটনার ব্যাপারে তারা এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আর পারদর্শী পর্যবেক্ষকবৃন্দ এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখেন।

আলবানী সিলসিলা আদ্ব-দ্ব’য়ীফা গ্রন্থে (১/১৬২) আবূ বুরদাহ থেকে বর্ণিত একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী ছানা কুরবানী দেওয়ার হাদীসের বর্ণনাগুলো উদ্ধৃত করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী তোমার পরে - আর কারো জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী কুরবানী করা বৈধ হবে না। উল্লেখ - করার পরে বলেছেন: সকল বর্ণনাগুলো একত্র করলে সাধারণভাবে মনে হয় যে, শেষ শব্দে বর্ণিত জায’আ (অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক বকরী। আর ইবনু হাযম এই শব্দ (জায আ) থেকে সাধারণভাবে সকল জায'আ বা সকল অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী বুঝেছেন। বিধায় তার নিকট এই শব্দটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভেড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। যেই সিদ্ধান্তটি আসলে তার অত্যধিক বাহ্যিক অর্থ ও শব্দের উপরে অবিচলভাবে স্থবির হয়ে থাকার ফলে ঘটেছে, বর্ণনাগুলোকে একত্রিত করে সামষ্টিক দৃষ্টিতে কী অর্থ নির্ণীত হয়, সেই বিষয়টির দিকে তিনি দৃষ্টপাত করেননি।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
জাঝাকল্লাহু খাইরা
 
Back
Top