তাকলীদে শাকসি একজন ব্যাক্তির অন্ধ অনুসরণ: এটা সালাফগণের মানহাজ নয় যে, একজনের মতামতের অনুসরণ করে ফাতওয়া ও রায় দেওয়া। বরং সালাফগণের আদর্শ ছিল কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা।
সুতরাং তারা ফাতওয়া প্রদানে সাধ্যানুযায়ী কুরআনের আয়াত বা হাদীস বাদ দিতেন না।। [এটা সালাফগণের মানহাজ নয়! পেজ-২৪৯]
এটার নাম তাকলীদে শাখসি বা একক ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ। তাকলীদ সম্পর্কে আমরা ইতঃপূর্বে আলোচনা করেছি। এখানে শুধু তাকলীদে শাখসি নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই।
তিনি হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি কুরআন ও সুন্নাহর ভাষ্য থেকে সরাসরি মাসআলার বিধান বের করতে সক্ষম।এমন ব্যক্তির জন্য কর্তব্য হচ্ছে তার ইজতিহাদ তাকে যেখানে পৌঁছাতে পেরেছে সেটা অনুযায়ী চলবে। তার জন্য তাকলীদ করা হারাম। এ ধরনের মুজতাহিদের আবার শ্রেণিবিভাগ হতে পারে। সকল অধ্যায়ে মুজতাহিদ না হলেও যেখানে তার পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে সেখানে তিনি ইজতিহাদ করে আমল করতে পারবেন।
দুই. তালিবুল ইলম বা ছাত্র:
এমন ছাত্র যার কাছে আলিমগণের দেওয়া মতামতের প্রদত্ত দলীলের মাঝে প্রাধান্য দেওয়ার সক্ষমতা আছে, যদিও তিনি ইজতিহাদের পর্যায়ে পৌঁছে যাননি। এমতাবস্থায় তার জন্য কোনো আলিমের তাকলীদ করার বাধ্যবাধকতা নেই। বরং তিনি আলিমগণের বক্তব্য, তাদের দলীলের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করে যা তার কাছে প্রাধান্য পায় তার ওপর আমল করবেন।
তিন. সাধারণ মানুষ:
যার কাছে ইজতিহাদ করার ক্ষমতা নেই, আর তার কাছে শরীআতের এমন কোনো জ্ঞানও নেই যা দ্বারা সে আলিমগণের মতামতের মধ্যে প্রাধান্য দিতে পারবেন। এমতাবস্থায় তার জন্য বাধ্যতামূলক হচ্ছে আলিমগণকে জিজ্ঞেস করা। তিনি আলিমগণের দেওয়া মতামতের ওপর আমল করবেন। কারণ আল্লাহ বলেন,
“যদি তোমরা না জানো তবে যারা আহলুয যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে অভিজ্ঞ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করো।” [সূরা আন-নাহল: ৪৩]
এমতাবস্থায় উক্ত সাধারণ মানুষ যার কথাকে তার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয় তার দেওয়া ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করবেন।
সুতরাং তারা ফাতওয়া প্রদানে সাধ্যানুযায়ী কুরআনের আয়াত বা হাদীস বাদ দিতেন না।। [এটা সালাফগণের মানহাজ নয়! পেজ-২৪৯]
এটার নাম তাকলীদে শাখসি বা একক ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ। তাকলীদ সম্পর্কে আমরা ইতঃপূর্বে আলোচনা করেছি। এখানে শুধু তাকলীদে শাখসি নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই।
বস্তুত মানুষ তিন প্রকার
এক. মুজতাহিদ:তিনি হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি কুরআন ও সুন্নাহর ভাষ্য থেকে সরাসরি মাসআলার বিধান বের করতে সক্ষম।এমন ব্যক্তির জন্য কর্তব্য হচ্ছে তার ইজতিহাদ তাকে যেখানে পৌঁছাতে পেরেছে সেটা অনুযায়ী চলবে। তার জন্য তাকলীদ করা হারাম। এ ধরনের মুজতাহিদের আবার শ্রেণিবিভাগ হতে পারে। সকল অধ্যায়ে মুজতাহিদ না হলেও যেখানে তার পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে সেখানে তিনি ইজতিহাদ করে আমল করতে পারবেন।
দুই. তালিবুল ইলম বা ছাত্র:
এমন ছাত্র যার কাছে আলিমগণের দেওয়া মতামতের প্রদত্ত দলীলের মাঝে প্রাধান্য দেওয়ার সক্ষমতা আছে, যদিও তিনি ইজতিহাদের পর্যায়ে পৌঁছে যাননি। এমতাবস্থায় তার জন্য কোনো আলিমের তাকলীদ করার বাধ্যবাধকতা নেই। বরং তিনি আলিমগণের বক্তব্য, তাদের দলীলের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করে যা তার কাছে প্রাধান্য পায় তার ওপর আমল করবেন।
তিন. সাধারণ মানুষ:
যার কাছে ইজতিহাদ করার ক্ষমতা নেই, আর তার কাছে শরীআতের এমন কোনো জ্ঞানও নেই যা দ্বারা সে আলিমগণের মতামতের মধ্যে প্রাধান্য দিতে পারবেন। এমতাবস্থায় তার জন্য বাধ্যতামূলক হচ্ছে আলিমগণকে জিজ্ঞেস করা। তিনি আলিমগণের দেওয়া মতামতের ওপর আমল করবেন। কারণ আল্লাহ বলেন,
“যদি তোমরা না জানো তবে যারা আহলুয যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে অভিজ্ঞ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করো।” [সূরা আন-নাহল: ৪৩]
এমতাবস্থায় উক্ত সাধারণ মানুষ যার কথাকে তার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয় তার দেওয়া ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করবেন।
সোর্স: এটা সালাফগণের মানহাজ নয়!