Altruistic
Uploader
Salafi User
- Joined
- Nov 17, 2023
- Threads
- 404
- Comments
- 519
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,513
- Thread Author
- #1
আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান দুইজন ক্লাসমেট। একদা আব্দুল্লাহ তার উরু উলঙ্গ করে বসে ছিল। আব্দুর রহমান বলল ভাই আপনি কি জানেন না উরু সতরের অন্তর্ভুক্ত?
আব্দুল্লাহ:- জি ভাই আমি জানি তবে এটা হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত।
আব্দুর রহমান:- জি না ভাই এটা কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত যেমন লজ্জাস্থান। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:-
"জারহাদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কি জান না উরু (রান) সতরের (গোপনাঙ্গের) অন্তর্ভুক্ত।" (আবূ দাঊদ ৪০১৪, তিরমিযী ২৭৯৫, আহমাদ ১৫৯৩১, দারিমী ২৬৯২)।
"আমর ইবনু শু’আয়ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো স্বীয় ক্রীতদাসীকে নিজের ক্রীতদাসের (অপর স্বাধীন পুরুষের) সাথে বিবাহ দেয়, তখন সে যেন উক্ত দাসীর সত্রের (গোপনাঙ্গের) প্রতি দৃষ্টিপাত না করে। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, সে যেন তার নাভি হতে হাঁটুর উপর পর্যন্ত না দেখে।" (আবূ দাঊদ ৪১১৪)।
অতএব এটা উন্মুক্ত করা হারাম।
আব্দুল্লাহ: এটা হলো একটি দিক। অন্যান্য হাদীস দ্বারা এর জায়েয হওয়া বুঝাতে পারা যায়।
আব্দুর রহমান:- তাহলে দলিল পেশ করেন।
আব্দুল্লাহ:- জি হ্যাঁ।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَجِعًا فِي بَيْتِهِ كَاشِفًا عَنْ فَخِذَيْهِ - أَوْ سَاقَيْهِ
"আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) উরু অথবা গোড়ালি হতে কাপড় খোলা অবস্থায় নিজ গৃহে শুয়ে ছিলেন।" (মুসলিম ৩৬-(২৪০১), ২৭-(২৪০২) মুসনাদে আহমাদ ২৪৩৭৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহু ১৬৮৭, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৭২, আবূ ইয়া'লা ৪৮১৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৯০৭)।
এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরু উলঙ্গ করেছিলেন। সুতরাং তা হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত।
আব্দুর রহমান:- ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন উক্ত হাদীস হুজ্জত বা দলীল হতে পারে না। কেননা হাদীসে রাবীর সন্দেহ পরিলক্ষিত হয় তা হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুই উরু অথবা দুই নলার কোন একটি খোলা অবস্থায় ছিল কিনা। অতএব দৃঢ়ভাবে বলা যায় না যে, উরু খুলে রাখা জায়িয আছে।
আব্দুল্লাহ:- জি ভাই। আমি আপনাকে দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে দিচ্ছি। উপরুক্ত হাদীস থেকে দুইটি মতামত বের হয়। আপনাকে একটি অবশ্যই মানতেই হবে।
(১) আপনি যদি বলেন উরু কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাহলে আপনার মতে তা উলঙ্গ করা হারাম। আর হারাম বিষয় কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সম্বোধন করা যায়। এখানে আয়িশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এটাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সম্বোধন করেছেন। তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে যে,( নাউযুবিল্লাহ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারাম কাজ করতে পারে এমন ধারণা করা বৈধ।
(২) অথবা আপনাকে মেনে নিতে হবে উরু উলঙ্গ করা বৈধ। আর আয়িশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি হারাম কোন ধারণা করেনি।
আব্দুর রহমান:- আআআআআ....। আমি আপনার কথা চিন্তাভাবনা করে দেখবো।
আব্দুল্লাহ:- ঠিক আছে ভাই। আমি আপনার অন্তর কে সুদৃঢ় করার জন্য আরো একটি হাদীস দেখায়:-
"যুহারর ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবুল আলিয়াহ আল বারুরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ সালাত আদায় করতে দেরী করল। এর পরেই আবদুল্লাহ ইবনুস্ সামিত আমার কাছে আসলেন। আমি তাকে একখানা চেয়ার পেতে দিলে তিনি বসলেন। তখন আমি তার কাছে ’আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ এর কৃতকর্মের কথা উল্লেখ করলাম। তখন তিনি ঠোঁট কামড়িয়ে সজোরে আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন- আমিও এ ব্যাপারে আবূ যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে। আর আমি যেভাবে তোমার উরুর উপরে সজোরে হাত মারলাম তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে ঠিক তেমনি আমিও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আর আমি যেমন তোমার উরুর উপর সজোরে আঘাত করলাম ঠিক তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেনঃ তুমি সময় মতো (প্রথম ওয়াক্তে) সালাত আদায় করে নিবে। তবে সবার সাথে জামা’আতে যদি সালাত আদায় করার সুযোগ হয় তাহলে তাদের সাথেও সালাত আদায় করে নিবে- এ ক্ষেত্রে বলবে না যে, আমি সালাত আদায় করে নিয়েছি তাই এখন আমি সালাত আদায় করব না। ( সহীহ মুসলিম ১৩৫৫,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৩৪২, ইসলামীক সেন্টার ১৩৫৪)
এখানে আমরা দেখতে পাই যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের উরু ব্যতীত অপরের উরুর উপর হাত মেরেছেন। এই হাদীস থেকে আপনাকে দুইটি মতামতের একটি অবশ্যই মানতেই হবে।
(১) আপনি যদি বলেন উরু কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাহলে এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়, কাপড়ের উপর দিয়ে অপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ করা বৈধ। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কাপড়ের উপর দিয়ে অপর ব্যক্তির উরুও স্পর্শ করতে পারবে ও লজ্জাস্থানও স্পর্শ করতে পারবে। কারণ আপনার কাছে উভয়ের হুকুম একই।
(২) অথবা আপনাকে মেনে নিতে হবে উরু হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত। তাই কেউ যদি কাপড়ের উপর দিয়ে অপরের উরুর উপর হাত রাখে তাহলে তা বৈধ। কিন্তু লজ্জাস্থান কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাই, কেউ যদি কাপড়ের উপর দিয়েও অপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তাহলে তা বৈধ নয়।
উপরের দুইটি দলিল থেকে আপনার কাছে যেই মতামত শক্তিশালী মনে হয় আপনি তা মানতে পারেন।
আব্দুর রহমান:- ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। উরু উলঙ্গ করা বৈধ এবং এটি হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত। আপনার সাথে আলোচনা করে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন। জাঝাকাল্লাহু খয়রন।
আব্দুল্লাহ:- আল্লাহ তায়ালা আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং আপনার অন্তরকে তার জন্য একানিষ্ঠ করে নিক। আমিন। জাঝাকাল্লাহু খয়রন।
আব্দুল্লাহ:- জি ভাই আমি জানি তবে এটা হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত।
আব্দুর রহমান:- জি না ভাই এটা কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত যেমন লজ্জাস্থান। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:-
وَعَنْ جَرْهَدٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الْفَخِذَ عَوْرَةٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
"জারহাদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কি জান না উরু (রান) সতরের (গোপনাঙ্গের) অন্তর্ভুক্ত।" (আবূ দাঊদ ৪০১৪, তিরমিযী ২৭৯৫, আহমাদ ১৫৯৩১, দারিমী ২৬৯২)।
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ فَلَا يَنْظُرَنَّ إِلَى عَوْرَتِهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَلَا يَنْظُرَنَّ إِلَى مَا دُونُ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
"আমর ইবনু শু’আয়ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো স্বীয় ক্রীতদাসীকে নিজের ক্রীতদাসের (অপর স্বাধীন পুরুষের) সাথে বিবাহ দেয়, তখন সে যেন উক্ত দাসীর সত্রের (গোপনাঙ্গের) প্রতি দৃষ্টিপাত না করে। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, সে যেন তার নাভি হতে হাঁটুর উপর পর্যন্ত না দেখে।" (আবূ দাঊদ ৪১১৪)।
অতএব এটা উন্মুক্ত করা হারাম।
আব্দুল্লাহ: এটা হলো একটি দিক। অন্যান্য হাদীস দ্বারা এর জায়েয হওয়া বুঝাতে পারা যায়।
আব্দুর রহমান:- তাহলে দলিল পেশ করেন।
আব্দুল্লাহ:- জি হ্যাঁ।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَجِعًا فِي بَيْتِهِ كَاشِفًا عَنْ فَخِذَيْهِ - أَوْ سَاقَيْهِ
"আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) উরু অথবা গোড়ালি হতে কাপড় খোলা অবস্থায় নিজ গৃহে শুয়ে ছিলেন।" (মুসলিম ৩৬-(২৪০১), ২৭-(২৪০২) মুসনাদে আহমাদ ২৪৩৭৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহু ১৬৮৭, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৭২, আবূ ইয়া'লা ৪৮১৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৯০৭)।
এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরু উলঙ্গ করেছিলেন। সুতরাং তা হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত।
আব্দুর রহমান:- ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন উক্ত হাদীস হুজ্জত বা দলীল হতে পারে না। কেননা হাদীসে রাবীর সন্দেহ পরিলক্ষিত হয় তা হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুই উরু অথবা দুই নলার কোন একটি খোলা অবস্থায় ছিল কিনা। অতএব দৃঢ়ভাবে বলা যায় না যে, উরু খুলে রাখা জায়িয আছে।
আব্দুল্লাহ:- জি ভাই। আমি আপনাকে দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে দিচ্ছি। উপরুক্ত হাদীস থেকে দুইটি মতামত বের হয়। আপনাকে একটি অবশ্যই মানতেই হবে।
(১) আপনি যদি বলেন উরু কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাহলে আপনার মতে তা উলঙ্গ করা হারাম। আর হারাম বিষয় কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সম্বোধন করা যায়। এখানে আয়িশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এটাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সম্বোধন করেছেন। তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে যে,( নাউযুবিল্লাহ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারাম কাজ করতে পারে এমন ধারণা করা বৈধ।
(২) অথবা আপনাকে মেনে নিতে হবে উরু উলঙ্গ করা বৈধ। আর আয়িশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি হারাম কোন ধারণা করেনি।
আব্দুর রহমান:- আআআআআ....। আমি আপনার কথা চিন্তাভাবনা করে দেখবো।
আব্দুল্লাহ:- ঠিক আছে ভাই। আমি আপনার অন্তর কে সুদৃঢ় করার জন্য আরো একটি হাদীস দেখায়:-
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، قَالَ أَخَّرَ ابْنُ زِيَادٍ الصَّلاَةَ فَجَاءَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّامِتِ فَأَلْقَيْتُ لَهُ كُرْسِيًّا فَجَلَسَ عَلَيْهِ فَذَكَرْتُ لَهُ صَنِيعَ ابْنِ زِيَادٍ فَعَضَّ عَلَى شَفَتِهِ وَضَرَبَ فَخِذِي وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ " صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ مَعَهُمْ فَصَلِّ وَلاَ تَقُلْ إِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فَلاَ أُصَلِّي " .
"যুহারর ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবুল আলিয়াহ আল বারুরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ সালাত আদায় করতে দেরী করল। এর পরেই আবদুল্লাহ ইবনুস্ সামিত আমার কাছে আসলেন। আমি তাকে একখানা চেয়ার পেতে দিলে তিনি বসলেন। তখন আমি তার কাছে ’আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ এর কৃতকর্মের কথা উল্লেখ করলাম। তখন তিনি ঠোঁট কামড়িয়ে সজোরে আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন- আমিও এ ব্যাপারে আবূ যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে। আর আমি যেভাবে তোমার উরুর উপরে সজোরে হাত মারলাম তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে ঠিক তেমনি আমিও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আর আমি যেমন তোমার উরুর উপর সজোরে আঘাত করলাম ঠিক তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেনঃ তুমি সময় মতো (প্রথম ওয়াক্তে) সালাত আদায় করে নিবে। তবে সবার সাথে জামা’আতে যদি সালাত আদায় করার সুযোগ হয় তাহলে তাদের সাথেও সালাত আদায় করে নিবে- এ ক্ষেত্রে বলবে না যে, আমি সালাত আদায় করে নিয়েছি তাই এখন আমি সালাত আদায় করব না। ( সহীহ মুসলিম ১৩৫৫,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৩৪২, ইসলামীক সেন্টার ১৩৫৪)
এখানে আমরা দেখতে পাই যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের উরু ব্যতীত অপরের উরুর উপর হাত মেরেছেন। এই হাদীস থেকে আপনাকে দুইটি মতামতের একটি অবশ্যই মানতেই হবে।
(১) আপনি যদি বলেন উরু কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাহলে এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়, কাপড়ের উপর দিয়ে অপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ করা বৈধ। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কাপড়ের উপর দিয়ে অপর ব্যক্তির উরুও স্পর্শ করতে পারবে ও লজ্জাস্থানও স্পর্শ করতে পারবে। কারণ আপনার কাছে উভয়ের হুকুম একই।
(২) অথবা আপনাকে মেনে নিতে হবে উরু হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত। তাই কেউ যদি কাপড়ের উপর দিয়ে অপরের উরুর উপর হাত রাখে তাহলে তা বৈধ। কিন্তু লজ্জাস্থান কঠিন সতরের অন্তর্ভুক্ত তাই, কেউ যদি কাপড়ের উপর দিয়েও অপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তাহলে তা বৈধ নয়।
উপরের দুইটি দলিল থেকে আপনার কাছে যেই মতামত শক্তিশালী মনে হয় আপনি তা মানতে পারেন।
আব্দুর রহমান:- ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। উরু উলঙ্গ করা বৈধ এবং এটি হালকা সতরের অন্তর্ভুক্ত। আপনার সাথে আলোচনা করে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন। জাঝাকাল্লাহু খয়রন।
আব্দুল্লাহ:- আল্লাহ তায়ালা আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং আপনার অন্তরকে তার জন্য একানিষ্ঠ করে নিক। আমিন। জাঝাকাল্লাহু খয়রন।