মূলনীতি : যেভাবে ইবাদতের মাঝে কোনো কিছু বৃদ্ধি করা বিদ'আত বলে বিবেচিত হবে, তেমনি ইবাদতের মাঝে কোনো কিছু কমতি করাও বিদ'আত বলে বিবেচিত হবে।
ইবাদত যেই বৈশিষ্ট্যসহ বর্ণিত হয়েছে সেই বৈশিষ্ট্যের উপরে অবিচল থাকা ওয়াজিব। সুতরাং কোনো কারণ ব্যতীত ইবাদতের মাঝে কোনো কিছু অতিরিক্ত করা এবং ইবাদতের কোনো অংশকে হ্রাস করা জায়েয নেই। যেমন নফল ছিয়াম, এই ক্ষেত্রে যখন কোনো মানুষ একদিন নফল ছিয়াম রাখার ইচ্ছা করে তখন তার জন্য ঐ দিন অর্ধদিবস পর্যন্ত উদাহরণস্বরূপ ছিয়াম রাখার নিয়্যাত করার অনুমতি নেই। কিন্তু সে উক্ত দিবসে পূর্ণ ছিয়াম রাখার নিয়্যাত করতে পারবে, এরপরে যদি তার কাছে মনে হয় যে, তাকে ছিয়ামটি ভঙ্গ করবে, পূর্ণ করবে না, তাহলে এখন আর কোনো সমস্যা নেই কেননা মুস্তাহাব শুরু করার দ্বারা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয় না, যেমনিভাবে সংখ্যা নির্ধারিত কিছু যিকরের ক্ষেত্রেও এমন বর্ণনা পাওয়া যায়, কারণ উক্ত যিকর শুরু করার পূর্বে মানুষের জন্য উক্ত যিকরের জন্য শরী'আত প্রণেতা যেই সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা পূর্ণ না করার নিয়্যাত করা, যেমন কিছু ছুলাতের ব্যাপারে বর্ণিত তাসবীহগুলো। বরং সে একমাত্র ঐভাবেই যিকর পাঠ করতে পারবে যেভাবে শরী'আতে বর্ণিত হয়েছে, অতঃপর শুরু করার পরে যদি তার কাছে মনে হয় যে, সে যিকর এর সংখ্যাটি পূর্ণ করবে না, তাহলে এখন কোনো সমস্যা নেই, কেননা মুস্তাহাব শুরু করার দ্বারা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয় না।
শাত্বিবী আল ইতিহাম গ্রন্থে (৩/৫৮) বলেছেন: এর প্রত্যেকটি থেকে তুমি জানতে পারলে যে, শরীয়ত প্রণেতা ইবাদতের কোনো বিষয় বান্দার চিন্তাধারার কাছে সমর্পণ করেননি, তাই তিনি যেখানে সীমা বেঁধে দিয়েছেন সেখানে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এর উপরে কোনোকিছু অতিরিক্ত করা বিদ'আত যেমনিভাবে এর কোনো অংশকে হ্রাস করা বিদ'আত।
– তাওদ্বীহু উসূলিল ফিকহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ, কায়দা: ১৯, শাইখ যাকারিয়া ইবনে গুলাম কাদীর পাকিস্তানি, মাকতাবাতুস সুন্নাহ রাজশাহী
ইবাদত যেই বৈশিষ্ট্যসহ বর্ণিত হয়েছে সেই বৈশিষ্ট্যের উপরে অবিচল থাকা ওয়াজিব। সুতরাং কোনো কারণ ব্যতীত ইবাদতের মাঝে কোনো কিছু অতিরিক্ত করা এবং ইবাদতের কোনো অংশকে হ্রাস করা জায়েয নেই। যেমন নফল ছিয়াম, এই ক্ষেত্রে যখন কোনো মানুষ একদিন নফল ছিয়াম রাখার ইচ্ছা করে তখন তার জন্য ঐ দিন অর্ধদিবস পর্যন্ত উদাহরণস্বরূপ ছিয়াম রাখার নিয়্যাত করার অনুমতি নেই। কিন্তু সে উক্ত দিবসে পূর্ণ ছিয়াম রাখার নিয়্যাত করতে পারবে, এরপরে যদি তার কাছে মনে হয় যে, তাকে ছিয়ামটি ভঙ্গ করবে, পূর্ণ করবে না, তাহলে এখন আর কোনো সমস্যা নেই কেননা মুস্তাহাব শুরু করার দ্বারা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয় না, যেমনিভাবে সংখ্যা নির্ধারিত কিছু যিকরের ক্ষেত্রেও এমন বর্ণনা পাওয়া যায়, কারণ উক্ত যিকর শুরু করার পূর্বে মানুষের জন্য উক্ত যিকরের জন্য শরী'আত প্রণেতা যেই সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা পূর্ণ না করার নিয়্যাত করা, যেমন কিছু ছুলাতের ব্যাপারে বর্ণিত তাসবীহগুলো। বরং সে একমাত্র ঐভাবেই যিকর পাঠ করতে পারবে যেভাবে শরী'আতে বর্ণিত হয়েছে, অতঃপর শুরু করার পরে যদি তার কাছে মনে হয় যে, সে যিকর এর সংখ্যাটি পূর্ণ করবে না, তাহলে এখন কোনো সমস্যা নেই, কেননা মুস্তাহাব শুরু করার দ্বারা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয় না।
শাত্বিবী আল ইতিহাম গ্রন্থে (৩/৫৮) বলেছেন: এর প্রত্যেকটি থেকে তুমি জানতে পারলে যে, শরীয়ত প্রণেতা ইবাদতের কোনো বিষয় বান্দার চিন্তাধারার কাছে সমর্পণ করেননি, তাই তিনি যেখানে সীমা বেঁধে দিয়েছেন সেখানে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এর উপরে কোনোকিছু অতিরিক্ত করা বিদ'আত যেমনিভাবে এর কোনো অংশকে হ্রাস করা বিদ'আত।
– তাওদ্বীহু উসূলিল ফিকহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ, কায়দা: ১৯, শাইখ যাকারিয়া ইবনে গুলাম কাদীর পাকিস্তানি, মাকতাবাতুস সুন্নাহ রাজশাহী