প্রথম রুকনঃ ভালোবাসা
মহান আল্লাহকে পরিপূর্ণ ভালোবেসে ইবাদতটি করতে হবে। যদি এক্ষেত্রে ইবাদত করে আল্লাহর, কিন্তু আল্লাহকে ভালোবাসে না, তা আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
"আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই; পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে" (সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৫)
মহান আল্লাহ বলেন, "বলুন, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তার রাসূল এবং তাঁর (আল্লাহর) পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশী প্রিয় হয়, তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের আপনগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত" (সূরা তওবা, আয়াত ৯)
আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, সে ঈমানের স্বাদ পায়- (১) যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য সকল বস্তু হতে অধিক প্রিয়; (২) যে একমাত্র আল্লাহরই জন্য কোন বান্দাকে ভালবাসে এবং (৩) আল্লাহ্ তা‘আলা কুফর হতে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফর-এ প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মতোই অপছন্দ করে। (বুখারী, হা. ২১)
দ্বিতীয় রুকনঃ আশা করা
প্রত্যেকটি ইবাদতের মধ্যে মহান আল্লাহর নিকট থেকে সওয়াব প্রাপ্তির, রহমত প্রাপ্তির এবং তাঁর সন্তুষ্টির আশা করতে হবে। আশা না থাকলে সেটি মহান আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।
মহান আল্লাহ বলেন, "তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত, আর তারা আমাদেরকে ডাকত আগ্রহ ও ভীতির সাথে এবং তারা ছিল আমাদের নিকট ভীত-অবনত" (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৯০)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, "বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে কর তাদেরকে ডাক, অতঃপর দেখবে যে, তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার বা পরিবর্তন করার শক্তি তাদের নেই"। "তারা যাদেরকে ডাকে তারাই তো তাদের রবের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকটতর হতে পারে, আর তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। নিশ্চয় আপনার রবের শাস্তি ভয়াবহ"। (সূরা আল ইসরা, আয়াত ৫৬-৫৭)
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ না করে মৃত্যু বরণ না করে। (আবু দাউদ, হা. ৩১১৩)
তৃতীয় রুকনঃ ভয় করা
একজন মুসলিম তার রবের ইবাদত করবে পরিপূর্ণ ভালোবাসার সাথে, তাঁর থেকে সওয়াব লাভের আশায়, জান্নাত পাওয়া আশায়, ঠিক একইভাবে তার উদ্দেশ্য থাকবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা। মহান আল্লাহকে ভয় করাও ইবাদতের একটি রুকন।
মহান আল্লাহ বলেন, "বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে"।(সূরা ফাতির, আয়াত ২৮)
আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহর শপথ! আমার আশা, নিশ্চয় আমি আল্লাহকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করি"। (আবু দাউদ, হা. ২৩৮৯; মুসলিম, হা. ১১১০)
উৎসঃ 'ইসলাম ও ঈমান ভঙ্গের কারণ' বই থেকে, পৃঃ ২৩,২৪,২৫; লেখক - ড. মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন, প্রকাশনী- সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
মহান আল্লাহকে পরিপূর্ণ ভালোবেসে ইবাদতটি করতে হবে। যদি এক্ষেত্রে ইবাদত করে আল্লাহর, কিন্তু আল্লাহকে ভালোবাসে না, তা আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
"আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই; পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে" (সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৫)
মহান আল্লাহ বলেন, "বলুন, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তার রাসূল এবং তাঁর (আল্লাহর) পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশী প্রিয় হয়, তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের আপনগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত" (সূরা তওবা, আয়াত ৯)
আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, সে ঈমানের স্বাদ পায়- (১) যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য সকল বস্তু হতে অধিক প্রিয়; (২) যে একমাত্র আল্লাহরই জন্য কোন বান্দাকে ভালবাসে এবং (৩) আল্লাহ্ তা‘আলা কুফর হতে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফর-এ প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মতোই অপছন্দ করে। (বুখারী, হা. ২১)
দ্বিতীয় রুকনঃ আশা করা
প্রত্যেকটি ইবাদতের মধ্যে মহান আল্লাহর নিকট থেকে সওয়াব প্রাপ্তির, রহমত প্রাপ্তির এবং তাঁর সন্তুষ্টির আশা করতে হবে। আশা না থাকলে সেটি মহান আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।
মহান আল্লাহ বলেন, "তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত, আর তারা আমাদেরকে ডাকত আগ্রহ ও ভীতির সাথে এবং তারা ছিল আমাদের নিকট ভীত-অবনত" (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৯০)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, "বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে কর তাদেরকে ডাক, অতঃপর দেখবে যে, তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার বা পরিবর্তন করার শক্তি তাদের নেই"। "তারা যাদেরকে ডাকে তারাই তো তাদের রবের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকটতর হতে পারে, আর তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। নিশ্চয় আপনার রবের শাস্তি ভয়াবহ"। (সূরা আল ইসরা, আয়াত ৫৬-৫৭)
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ না করে মৃত্যু বরণ না করে। (আবু দাউদ, হা. ৩১১৩)
তৃতীয় রুকনঃ ভয় করা
একজন মুসলিম তার রবের ইবাদত করবে পরিপূর্ণ ভালোবাসার সাথে, তাঁর থেকে সওয়াব লাভের আশায়, জান্নাত পাওয়া আশায়, ঠিক একইভাবে তার উদ্দেশ্য থাকবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা। মহান আল্লাহকে ভয় করাও ইবাদতের একটি রুকন।
মহান আল্লাহ বলেন, "বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে"।(সূরা ফাতির, আয়াত ২৮)
আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহর শপথ! আমার আশা, নিশ্চয় আমি আল্লাহকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করি"। (আবু দাউদ, হা. ২৩৮৯; মুসলিম, হা. ১১১০)
উৎসঃ 'ইসলাম ও ঈমান ভঙ্গের কারণ' বই থেকে, পৃঃ ২৩,২৪,২৫; লেখক - ড. মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন, প্রকাশনী- সবুজপত্র পাবলিকেশন্স