- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 347
- Comments
- 399
- Reactions
- 1,882
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দুআ করার জন্য কি হাত তুলে মোনাজাত করা জরুরি? সহকর্মী সবাই একসাথে ইফতার করতে বসি। সেখানে কেউ মোনাজাত করে না। এখন আমি যদি হাত না তুলে মনে মনে দুআ করি তাতে কি কোনও সমস্যা আছে?
উত্তর: হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে, যে রোজাদারের দুআ কবুল হয়। তাছাড়া ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত ও ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় থাকে। তাই এসময় দুআ করলে কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সুতরাং এ সময় অধিক পরিমাণে দুআ করা উত্তম। কিন্তু তা হবে ব্যক্তিগত ভাবে। প্রত্যেকেই নিজে নিজে তার ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহর নিকট দুআ করবে। চাই তা হাত উঠিয়ে হোক অথবা হাত উঠানো ছাড়া হোক-তাতে কোনও সমস্যা নাই। তবে হাত উঠিয়ে দুআ করা বেশি ভালো। কারণ এটি দুআর অন্যতম একটি আদব।
কিন্তু ইফতার সামনে নিয়ে সম্মিলিত দুআ করা দলিল সমর্থিত নয়। কেননা হাদিসে সম্মিলিত দুআ করার যে সকল ক্ষেত্র পাওয়া যায় এটি তার অন্তর্ভুক্ত নয়।
সুতরাং আমাদের সমাজে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ইফতারির নানা আইটেমের খাদ্য-পানীয় সামনে নিয়ে বসে একজন মাওলানা বা ইমাম কর্তৃক দুআ করা আর বাকি সব রোজাদার আমিন আমিন বলার যে প্রথা চালু আছে তা সুন্নাহ সমর্থিত না হওয়ার কারণে মুহাক্কিক আলেমগণ তাকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সুতরাং ইফতারের পূর্বে প্রচলিত সম্মিলিত দুআ-মুনাজাত পরিত্যাজ্য।
মিসরের প্রসিদ্ধ ইসলামি দাঈ ডক্টর মুহাম্মদ হাসসান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,
“ইফতারের পূর্বে সম্মিলিত দুআ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আমাদের সালাফগণ (পূর্বসূরী) থেকে সাব্যস্ত হয় নি। অর্থাৎ এমনটা জানা যায় না যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো সাহাবিদেরকে নিয়ে মসজিদে বা অন্য কোথাও একত্রিত হয়ে ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে দুআ করেছেন। অনুরূপভাবে সালাফগণও এমনটি করেন নি। সুতরাং আল্লাহ যতটুকু তওফিক দান করেন নিজে নিজে দুআ করুন।” (ভিডিও থেকে নেয়া)
শাইখ মুহাম্মদ বিন হাদী আল মাদখালি (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, "ইফতারের পূর্বে সম্মিলিত দুআ করার কোনও ভিত্তি আছে বলে জানা নাই। বরং মূল হল, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজে নিজে দুআ করবে যা খুশি। কিন্তু সম্মিলিত দুআ করার বিষয়টির কোনও ভিত্তি জানা নাই। এটি বিদআত।” (ভিডিও থেকে নেয়া-সংক্ষেপায়িত)
আল্লাহ তাআলা সুন্নাহ আমাদেরকে সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার এবং বিদআত থেকে দূরে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তর: হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে, যে রোজাদারের দুআ কবুল হয়। তাছাড়া ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত ও ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় থাকে। তাই এসময় দুআ করলে কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সুতরাং এ সময় অধিক পরিমাণে দুআ করা উত্তম। কিন্তু তা হবে ব্যক্তিগত ভাবে। প্রত্যেকেই নিজে নিজে তার ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহর নিকট দুআ করবে। চাই তা হাত উঠিয়ে হোক অথবা হাত উঠানো ছাড়া হোক-তাতে কোনও সমস্যা নাই। তবে হাত উঠিয়ে দুআ করা বেশি ভালো। কারণ এটি দুআর অন্যতম একটি আদব।
কিন্তু ইফতার সামনে নিয়ে সম্মিলিত দুআ করা দলিল সমর্থিত নয়। কেননা হাদিসে সম্মিলিত দুআ করার যে সকল ক্ষেত্র পাওয়া যায় এটি তার অন্তর্ভুক্ত নয়।
সুতরাং আমাদের সমাজে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ইফতারির নানা আইটেমের খাদ্য-পানীয় সামনে নিয়ে বসে একজন মাওলানা বা ইমাম কর্তৃক দুআ করা আর বাকি সব রোজাদার আমিন আমিন বলার যে প্রথা চালু আছে তা সুন্নাহ সমর্থিত না হওয়ার কারণে মুহাক্কিক আলেমগণ তাকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সুতরাং ইফতারের পূর্বে প্রচলিত সম্মিলিত দুআ-মুনাজাত পরিত্যাজ্য।
মিসরের প্রসিদ্ধ ইসলামি দাঈ ডক্টর মুহাম্মদ হাসসান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,
“ইফতারের পূর্বে সম্মিলিত দুআ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আমাদের সালাফগণ (পূর্বসূরী) থেকে সাব্যস্ত হয় নি। অর্থাৎ এমনটা জানা যায় না যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো সাহাবিদেরকে নিয়ে মসজিদে বা অন্য কোথাও একত্রিত হয়ে ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে দুআ করেছেন। অনুরূপভাবে সালাফগণও এমনটি করেন নি। সুতরাং আল্লাহ যতটুকু তওফিক দান করেন নিজে নিজে দুআ করুন।” (ভিডিও থেকে নেয়া)
শাইখ মুহাম্মদ বিন হাদী আল মাদখালি (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, "ইফতারের পূর্বে সম্মিলিত দুআ করার কোনও ভিত্তি আছে বলে জানা নাই। বরং মূল হল, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজে নিজে দুআ করবে যা খুশি। কিন্তু সম্মিলিত দুআ করার বিষয়টির কোনও ভিত্তি জানা নাই। এটি বিদআত।” (ভিডিও থেকে নেয়া-সংক্ষেপায়িত)
আল্লাহ তাআলা সুন্নাহ আমাদেরকে সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার এবং বিদআত থেকে দূরে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল