প্রশ্নোত্তর ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময় কত?

Abu UmarVerified member

If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
664
Comments
1,232
Solutions
17
Reactions
7,375
উত্তর: ই‘তিকাফের সর্বনিম্ন সময়সীমার ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

অধিকাংশ আলেমগণের মতে ই‘তিকাফের সর্বনিম্ন সময় এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে। আর এটি ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফে‘ঈ ও ইমাম আহমাদের মত।[1]

ইমাম নববী বলেছেন, “আর ই‘তিকাফের সর্বনিম্ন সময়সীমা সম্পর্কে অধিকাংশ (আলেমগণ) যে মত তাকিদের সাথে পোষণ করেন এবং এটিই সঠিক মত যে এর জন্য মসজিদে অবস্থান শর্ত (অর্থাৎ ই‘তিকাফ মসজিদে হতে হবে) এবং তা বেশি বা অল্প সময়ের জন্য হতে পারে, কিছু সময় বা মুহূর্তের জন্যও”।[2]

আর এ ব্যাপারে তারা বেশ কয়েকটি দলীল দিয়েছেন:

১. ই‘তিকাফের শাব্দিক অর্থ অবস্থান করা যা দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হতে পারে। আর শরী‘আতে এমন কোনো দলীল পাওয়া যায় না, যা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়।

ইবন হাযম বলেছেন, “ই‘তিকাফ আরবদের ভাষায়-অবস্থান করা। তাই আল্লাহ তা‘আলার মসজিদে তাঁর নৈকট্য লাভের আশায় যে কোনো অবস্থানই হলো ই‘তিকাফ.........সময়সীমা কম হোক বা বেশি হোক, যেহেতু কুরআন ও সুন্নাহ নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা সময় নির্ধারণ করেনি”।[3]

২. ইবন আবী শাইবাহ, ইয়া‘লা ইবন উমাইইয়াহ রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন, “আমি মসজিদে ‘সা‘আহ’ বা কিছু সময় অবস্থান করি আর আমি ই‘তিকাফ করার জন্যই অবস্থান করি।” এটি দ্বারা ইবন হাযম-‘আল-মুহাল্লা’-তে (৫/১৭৯) দলীল পেশ করেছেন।

হাফিয ইবন হাজার ‘ফাতহুল বারী’-তে তা উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন (অর্থাৎ কোনো মন্তব্য করেন নি)।

আর সা‘আহ হলো সময়ের কিছু অংশ, বর্তমান পরিভাষায় ব্যবহৃত ষাট মিনিটের এক ঘণ্টা নয়। [উল্লেখ্য যে সাম্প্রতিক পরিভাষায় ‘আরবীতে এক ঘণ্টা (৬০ মি.)-কে সা‘আহ বলে।]

আলেমগণের মধ্যে কারও কারও মতে এর (ই‘তিকাফের) সর্বনিম্ন সময় একদিন। এটি ইমাম আবু হানীফাহ’র এক বর্ণনা এবং মালিকী ফিক্বহী মাযহাবে কেউ কেউ এ মত পোষণ করেছেন।

আর শাইখ ইবন বায বলেছেন, “ই‘তিকাফ হলো আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করা, সময় কম হোক বা বেশি হোক। কারণ, আমার জানা মতে এমন কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না, যা একদিন, দুই দিন বা এর বেশি কিছু নির্দিষ্ট হওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করে। আর তা শরী‘আতসম্মত একটি ইবাদাত যদি না কেউ নাযর (মান্নত) করে,-নাযরের (মান্নতের) দ্বারা তা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর তা নারী ও পুরুষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”[4]



[1] দুররুল-মুখতার (১/৪৪৫), আল-মাজমূ‘ (৬/৪৮৯), আল-ইনসাফ (৭/৫৬৬)।
[2] ‘আল-মাজমূ‘’ (৬/৫১৪)।
[3] আল-মুহাল্লা (৫/১৭৯)।
[4] মাজমূ‘উল ফাতাওয়া (১৫/৪৪১)।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top