প্রশ্ন: আহলে বিদয়াতের অর্থাৎ বিদাতিদের বই অধ্যায়ন করা কেমন?
سوال : اہل بدعت کی کتابوں کا مطالعہ کرنا کیسا ہے؟
جواب : اہل بدعت گمراہوں اور ملحدین کی کتابوں کا مطالعہ کرنا جائز نہیں۔ ان میں گمراہی کا سامان ہے، جو کسی بھی صحیح العقیدہ اور سلیم الفطرت کو گمراہ کر سکتا ہے۔ ایک مسلمان کو دین داری اور اُخروی نجات کے لیے جو کچھ ضروری ہے، وہ سب قرآن و حدیث اور اہل سنت والجماعت کی کتابوں میں موجود ہے، لہٰذا گمراہوں کی کتابیں پڑھنے کی ضرورت نہیں ۔ خاص طور پر یہ حکم عوام الناس کے لیے ہے۔
উত্তরঃ আহলে বিদয়াত, পথভ্রষ্ট ও নাস্তিকদের কিতাব অধ্যয়ন করা জায়েয নয়। তাদের মধ্যে গোমরাহী রয়েছে, যা যেকোনো সহীহ আকিদার ও সরল বিশ্বাসের কাউকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। একজন মুসলমানের ধার্মিক হওয়ার জন্য এবং পরকালে নাজাত পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা সবকিছুই কুরআন, হাদিস এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বইতে রয়েছে, তাই গোমরাহীদের বই পড়ার দরকার নেই। বিশেষ করে এই আদেশ সাধারণ মানুষের জন্য।
البتہ جو علما اہل سنت والجماعت کے عقیدہ سے پوری طرح واقف ہوں اور کتاب وسنت کے منہج پر دسترس رکھتے ہوں ، وہ اہل باطل کا رد کرنے کے لیے ان کی کتابیں پڑھ سکتے ہیں، تا کہ اہل بدعت کے دلائل اور شبہات کا علم ہو سکے اور ان کا مدلل و مبرہن رد ہو سکے۔ اہل بدعت کی کتابوں کی عوام الناس میں تشہیر کرنا درست نہیں، نہ انہیں یہ کتابیں پڑھنے پڑھانے کی اجازت ہے۔
তবে যেসব আলেম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং কিতাব ও সুন্নাহর মানহায সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, তারা আহলে বাতিলদের খণ্ডন করার জন্য তাদের বইগুলো পড়তে পারেন, যাতে করে বিদয়াতীদের দলিলসমূহ, ও সন্দেহ সম্পর্কে জানা যায় এবং তাদের দলিল গুলোকে রদ্দ করা যায়। জনসমক্ষে বিদয়াতীদের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক নয় এবং তাদের জন্য এসব বই পড়া ও শেখানোও জায়েজ নয়।
سعید بن عمر و بر ذعی رحمہ اللہ (۲۹۲ھ ) بیان کرتے ہیں:
সাঈদ বিন আমর বারজাই রহিমাহুল্লাহ (২৯২ হিঃ) বর্ণনা করেন:
شَهِدْتُ أَبَا زُرْعَةَ وَسُئِلَ عَنِ الْحَارِثِ الْمُحَاسِبِيِّ وَكُتُبِهِ، فَقَالَ لِلسَّائِلِ : إِيَّاكَ وَهَذِهِ الْكُتُبَ، هَذِهِ كُتُبُ بِدَعِ وَضَلَالَاتِ، عَلَيْكَ بِالْأَثَرِ ، فَإِنَّكَ تَجِدُ فِيهِ مَا يُغْنِيكَ عَنْ هَذِهِ الْكُتُبِ، قِيلَ لَهُ : فِي هَذِهِ الْكُتُبِ عِبْرَةٌ، قَالَ : مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ فِي كِتَابِ اللهِ عِبْرَةٌ فَلَيْسَ لَهُ فِي هَذِهِ الْكُتُبِ عِبْرَةٌ .
میں امام ابو زرعہ رازی رحمہ اللہ کے پاس موجود تھا، آپ رحمہ اللہ سے ( مشہور صوفی ) حارث بن اسد محاسبی (۲۴۳ھ) اور اس کی کتابوں کے متعلق سوال ہوا، تو آپ رحمہ اللہ نے سوال کرنے والے سے فرمایا: ان کتابوں سے بحچ رہیے، یہ کتابیں بدعات اور گمراہیوں سے آئی پڑی ہیں ، آپ ماثور ( قرآن وحدیث پر مشتمل ) کتب کو لازم پکڑیں ، آپ کو ان کتب میں وہ سب کچھ مل جائے گا ، جو آپ کو ان ( بدعی اور گمراہ کن ) کتابوں سے بے نیاز کر دے گا۔
ابو زرعہ رحمہ اللہ سے کہا گیا : ان کتابوں میں عبرتیں موجود ہیں۔ فرمایا : جسے کتاب اللہ سے عبرت حاصل نہیں ہوتی ، وہ ان ( بدعی اور گمراہ کن ) کتابوں سے بھی عبرت نہیں پکڑ سکتا ۔
الضعفاء : 561/2 ، تاريخ بغداد للخطيب : 212/8)
আমি ইমাম আবু জুররাহ রাযী (রহ.) এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, এবং তাকে (বিখ্যাত সূফী) হারিস বিন আসাদ আল-মুহাসিবি (২৪৩হি) এবং তার বই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তো তিনি প্রশ্নকর্তাকে বললেন: এগুলো বই থেকে দূরে থাকুন। এসব বই বিদআত ও গোমরাহী থেকে এসেছে। আপনি কুরআন ও হাদিসের সাথে সম্পৃক্ত বইগুলো গ্রহণ করুন। আপনি এই বইগুলিতে সে সবকিছুই পাবেন যা আপনাকে এ ধরনের বিদয়াত ও গোমরাহীর বইগুলো থেকে মুক্ত করবে।
আবু জুররাহ রহিমাহুল্লাহ-কে বলা হলো :
এই বইগুলোতে নসিহাত, উপদেশ রয়েছে। তিনি বললেন: যে আল্লাহর কিতাব থেকেই নসিহাত, উপদেশ গ্রহণ করতে পারে না, সে ঐসব বিদয়াতী ও গোমরাহীর বই থেকেও নসিহাত, উপদেশ করতে পারবে না ।[আদ-দুয়াফা: ২/৫৬১, তারিখু বাগদাদু লিল-খতিব ৮/২১২]
মূল: ফাতওয়া আমানপুরী (কিস্তি ২৫১)
লেখকঃ গোলাম মোস্তফা জহীর আমানপুরী (হাফি.)
অনুবাদঃ ইকরামুজ্জামান রুকন
سوال : اہل بدعت کی کتابوں کا مطالعہ کرنا کیسا ہے؟
جواب : اہل بدعت گمراہوں اور ملحدین کی کتابوں کا مطالعہ کرنا جائز نہیں۔ ان میں گمراہی کا سامان ہے، جو کسی بھی صحیح العقیدہ اور سلیم الفطرت کو گمراہ کر سکتا ہے۔ ایک مسلمان کو دین داری اور اُخروی نجات کے لیے جو کچھ ضروری ہے، وہ سب قرآن و حدیث اور اہل سنت والجماعت کی کتابوں میں موجود ہے، لہٰذا گمراہوں کی کتابیں پڑھنے کی ضرورت نہیں ۔ خاص طور پر یہ حکم عوام الناس کے لیے ہے۔
উত্তরঃ আহলে বিদয়াত, পথভ্রষ্ট ও নাস্তিকদের কিতাব অধ্যয়ন করা জায়েয নয়। তাদের মধ্যে গোমরাহী রয়েছে, যা যেকোনো সহীহ আকিদার ও সরল বিশ্বাসের কাউকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। একজন মুসলমানের ধার্মিক হওয়ার জন্য এবং পরকালে নাজাত পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা সবকিছুই কুরআন, হাদিস এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বইতে রয়েছে, তাই গোমরাহীদের বই পড়ার দরকার নেই। বিশেষ করে এই আদেশ সাধারণ মানুষের জন্য।
البتہ جو علما اہل سنت والجماعت کے عقیدہ سے پوری طرح واقف ہوں اور کتاب وسنت کے منہج پر دسترس رکھتے ہوں ، وہ اہل باطل کا رد کرنے کے لیے ان کی کتابیں پڑھ سکتے ہیں، تا کہ اہل بدعت کے دلائل اور شبہات کا علم ہو سکے اور ان کا مدلل و مبرہن رد ہو سکے۔ اہل بدعت کی کتابوں کی عوام الناس میں تشہیر کرنا درست نہیں، نہ انہیں یہ کتابیں پڑھنے پڑھانے کی اجازت ہے۔
তবে যেসব আলেম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং কিতাব ও সুন্নাহর মানহায সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, তারা আহলে বাতিলদের খণ্ডন করার জন্য তাদের বইগুলো পড়তে পারেন, যাতে করে বিদয়াতীদের দলিলসমূহ, ও সন্দেহ সম্পর্কে জানা যায় এবং তাদের দলিল গুলোকে রদ্দ করা যায়। জনসমক্ষে বিদয়াতীদের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক নয় এবং তাদের জন্য এসব বই পড়া ও শেখানোও জায়েজ নয়।
سعید بن عمر و بر ذعی رحمہ اللہ (۲۹۲ھ ) بیان کرتے ہیں:
সাঈদ বিন আমর বারজাই রহিমাহুল্লাহ (২৯২ হিঃ) বর্ণনা করেন:
شَهِدْتُ أَبَا زُرْعَةَ وَسُئِلَ عَنِ الْحَارِثِ الْمُحَاسِبِيِّ وَكُتُبِهِ، فَقَالَ لِلسَّائِلِ : إِيَّاكَ وَهَذِهِ الْكُتُبَ، هَذِهِ كُتُبُ بِدَعِ وَضَلَالَاتِ، عَلَيْكَ بِالْأَثَرِ ، فَإِنَّكَ تَجِدُ فِيهِ مَا يُغْنِيكَ عَنْ هَذِهِ الْكُتُبِ، قِيلَ لَهُ : فِي هَذِهِ الْكُتُبِ عِبْرَةٌ، قَالَ : مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ فِي كِتَابِ اللهِ عِبْرَةٌ فَلَيْسَ لَهُ فِي هَذِهِ الْكُتُبِ عِبْرَةٌ .
میں امام ابو زرعہ رازی رحمہ اللہ کے پاس موجود تھا، آپ رحمہ اللہ سے ( مشہور صوفی ) حارث بن اسد محاسبی (۲۴۳ھ) اور اس کی کتابوں کے متعلق سوال ہوا، تو آپ رحمہ اللہ نے سوال کرنے والے سے فرمایا: ان کتابوں سے بحچ رہیے، یہ کتابیں بدعات اور گمراہیوں سے آئی پڑی ہیں ، آپ ماثور ( قرآن وحدیث پر مشتمل ) کتب کو لازم پکڑیں ، آپ کو ان کتب میں وہ سب کچھ مل جائے گا ، جو آپ کو ان ( بدعی اور گمراہ کن ) کتابوں سے بے نیاز کر دے گا۔
ابو زرعہ رحمہ اللہ سے کہا گیا : ان کتابوں میں عبرتیں موجود ہیں۔ فرمایا : جسے کتاب اللہ سے عبرت حاصل نہیں ہوتی ، وہ ان ( بدعی اور گمراہ کن ) کتابوں سے بھی عبرت نہیں پکڑ سکتا ۔
الضعفاء : 561/2 ، تاريخ بغداد للخطيب : 212/8)
আমি ইমাম আবু জুররাহ রাযী (রহ.) এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, এবং তাকে (বিখ্যাত সূফী) হারিস বিন আসাদ আল-মুহাসিবি (২৪৩হি) এবং তার বই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তো তিনি প্রশ্নকর্তাকে বললেন: এগুলো বই থেকে দূরে থাকুন। এসব বই বিদআত ও গোমরাহী থেকে এসেছে। আপনি কুরআন ও হাদিসের সাথে সম্পৃক্ত বইগুলো গ্রহণ করুন। আপনি এই বইগুলিতে সে সবকিছুই পাবেন যা আপনাকে এ ধরনের বিদয়াত ও গোমরাহীর বইগুলো থেকে মুক্ত করবে।
আবু জুররাহ রহিমাহুল্লাহ-কে বলা হলো :
এই বইগুলোতে নসিহাত, উপদেশ রয়েছে। তিনি বললেন: যে আল্লাহর কিতাব থেকেই নসিহাত, উপদেশ গ্রহণ করতে পারে না, সে ঐসব বিদয়াতী ও গোমরাহীর বই থেকেও নসিহাত, উপদেশ করতে পারবে না ।[আদ-দুয়াফা: ২/৫৬১, তারিখু বাগদাদু লিল-খতিব ৮/২১২]
মূল: ফাতওয়া আমানপুরী (কিস্তি ২৫১)
লেখকঃ গোলাম মোস্তফা জহীর আমানপুরী (হাফি.)
অনুবাদঃ ইকরামুজ্জামান রুকন