If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতকে পরিত্রাণপ্রাপ্ত ও সাহায্যপ্রাপ্ত দলও বলা হয়। এ জামা'আতের লোকদের পরস্পরের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে তাদের কিছু নিদর্শন আছে যা দিয়ে তাদেরকে চিহ্নিত করা যায়। নিম্নে তা বর্ণিত হলো:
১. আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান:[১] তারা কুরআন তিলাওয়াত, অধ্যয়ন, মুখস্থকরণ ও গবেষণার মধ্যদিয়ে আল্লাহ্ কিতাবের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসকে জেনে-বুঝে এবং সহীহ হাদীসকে দুর্বল হাদীস হতে চিহ্নিত করে হাদীসের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। (এর কারণ হলো, কুরআন ও সুন্নাহই তাদের জ্ঞানের মূল উৎস) এছাড়া তারা জ্ঞান অর্জন করে তা আমলে পরিণত করেন।
২. পরিপূর্ণভাবে দীনের মধ্যে প্রবেশ করা:[২] পুরো কুরআনের উপর বিশ্বাস করা। সুতরাং তারা কুরআনে আলোচিত ভালো ওয়াদা সম্পর্কিত আয়াতসমূহ এবং শাস্তির হুমকি সংক্রান্ত আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনেন। যেমনিভাবে তারা আল্লাহর গুণাগুণ সাব্যস্ত আয়াতসমূহে ঈমান ও যে সমস্ত গুণাগুণ থেকে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র সেগুলো যেসব আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তাতেও ঈমান রাখেন। আর তারা সমন্বয় সাধন করেন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত তাক্বদীরে ঈমান আনয়নের পাশাপাশি বান্দার জন্য ইচ্ছা, চাওয়া ও কার্যক্ষমতা সাব্যস্ত করেন। অনুরূপভাবে তারা সমন্বয় বজায় রাখেন ইলম ও ইবাদতের মধ্যে, শক্তি ও রহমতের মধ্যে, উপায় অবলম্বন করে কাজ করা ও পরহেযগারী করে দুনিয়াবিমুখতার মধ্যে।
৩. অনুসরণ করা ও বিদ'আত পরিত্যাগ করা:[৩] তারা কুরআন সুন্নাহর অনুসরণ করেন, বিদ‘আতকে পরিহার করেন, সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করেন এবং দীনের মধ্যে বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারী সকল পথ বর্জন করেন।
৪. হিদায়াতের ন্যায়পরায়ণ ইমামদের অনুকরণ, অনুসরণ: তারা হিদায়াত পাওয়ার জন্য সাহাবা এবং যারা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, যারা ছিলেন ইলম, আমল ও দাওয়াতের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এমন হিদায়াতের ধারক ও বাহক ইমামদের পথ অনুসরণ করেন এবং যারা উক্ত ইমামদের বিরোধিতা করে তাদেরকে পরিহার করেন।
৫. তারা মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী:[৪] আক্বীদাহ সংক্রান্ত বিষয়ে না তারা অতিরঞ্জিতকারীদের মত, না এ বিষয়কে তুচ্ছ ও অবজ্ঞা পোষণকারীদের মত। এভাবে সমস্ত কাজকর্ম এবং আচার ব্যবহারে তারা বাড়াবাড়ি ও কমতি এ দু'য়ের মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী।
৬. সব সময় তারা মুসলিমদের সত্য পথে একত্রিত করতে সচেষ্ট থাকেন:[৫] আর তারা [আল্লাহ্] তাওহীদ ও [রাসূলের] অনুসরণের উপর মুসলিমদের সকল কাতার একত্রিত করার জন্য এবং তাদের মাঝে অনৈক্যসৃষ্টিকারী সকল কিছুকে দূরীভূত করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। কাজেই দীনের মৌলিক বিষয়গুলিতে মুসলিম উম্মার মধ্যে তাদের বৈশিষ্ট্য শুধু সুন্নাত ও সংঘবদ্ধ জীবন যাপনের মাধ্যমে। আর তারা শুধুমাত্র ইসলাম ও সুন্নাতের ভিত্তিতেই শত্রুতা বা বন্ধুত্ব করেন।
৭. তারা আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করেন। সৎ কাজের আদেশ দেন ও অসৎ কাজের নিষেধ করেন। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেন। দীনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য রাসূলের সুন্নাতকে জীবিত করেন, বিদ‘আতকে দূর করেন। আর তারা ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল পর্যায়ে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।
৮. ইনছাফ প্রতিষ্ঠা করা: তারা ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠিস্বার্থের চাইতে আল্লাহর অধিকারকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা না কারো ভালোবাসায় অতিরঞ্জিত করেন, তারা না কারো দুশমনিতে সীমালঙ্ঘন করেন, আর না কোন মহৎ ব্যক্তির মহত্বকে অস্বীকার করেন।
৯. জ্ঞান আহরণের মূল উৎস কুরআন সুন্নাহ[৬] হওয়ার কারণে তাদের চিন্তা-চেতনা এবং প্রত্যেক অবস্থানের মধ্যে সামঞ্জস্যতা থাকে, যদিও তাদের যুগ বা ভূখণ্ড ভিন্ন হউক।
১০. সকল মানুষের সাথে অনুগ্রহ, দয়া এবং উত্তম আচরণ করা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৭]
১১. আল্লাহ তা'আলা, তার কিতাব-আল কুরআন, রাসূলুল্লাহ ছুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুসলিমদের নেতাগণ এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য নছীহত[৮] করাও তাদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।
১২. মুসলিমদের সমস্যাদির গুরুত্ব দেয়া, তাদেরকে সাহায্য করা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং তাদেরকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকাও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৯]
[১] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭; সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/২১১, ২২৬, ২২৭, ২৩০।
[২] দেখুন-সূরা আল বাকারা ২:২০৮।
[৩] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭।
[৪] দেখুন-সূরা আল বাকারা ২:১৪৩, সূরা আল মায়িদা ৫: ৭৭, ৮৭। সহীহ মুসলিম হা/১৪০১ ৷
[৫] দেখুন-সূরা আলে ইমরান ৩:১০৩
[৬] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭, ৩৪৬১; সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/২১১, ২২৬, ২২৭।
[৭] দেখুন-সূরা আন নাহল ১৬:৯০, সহীহ: তিরমিযী হা/১৯২০, ১৯২২, ২০০২।
[৮] আল্লাহর জন্য নছীহতের অর্থ হলো-তার জন্য শির্কমুক্ত ইবাদত করা, তার নাম ও গুণবাচক নাম সমূহের উপর বিশ্বাস রাখা। কুরআনের জন্য নছীহতের অর্থ কুরআনের পথ ধরে চলা। রাসূলের জন্য নছীহতের অর্থ-তার রিসালাতকে স্বীকার করে নিয়ে তার দেয়া সুন্নাত অনুযায়ী জীবন গঠন করা। দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/৫৫।
[৯] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/২৬৯৯, ২৫৫৯, ২৫৬৩, ২৫৬৪, ২৫৮০।
১. আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান:[১] তারা কুরআন তিলাওয়াত, অধ্যয়ন, মুখস্থকরণ ও গবেষণার মধ্যদিয়ে আল্লাহ্ কিতাবের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসকে জেনে-বুঝে এবং সহীহ হাদীসকে দুর্বল হাদীস হতে চিহ্নিত করে হাদীসের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। (এর কারণ হলো, কুরআন ও সুন্নাহই তাদের জ্ঞানের মূল উৎস) এছাড়া তারা জ্ঞান অর্জন করে তা আমলে পরিণত করেন।
২. পরিপূর্ণভাবে দীনের মধ্যে প্রবেশ করা:[২] পুরো কুরআনের উপর বিশ্বাস করা। সুতরাং তারা কুরআনে আলোচিত ভালো ওয়াদা সম্পর্কিত আয়াতসমূহ এবং শাস্তির হুমকি সংক্রান্ত আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনেন। যেমনিভাবে তারা আল্লাহর গুণাগুণ সাব্যস্ত আয়াতসমূহে ঈমান ও যে সমস্ত গুণাগুণ থেকে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র সেগুলো যেসব আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তাতেও ঈমান রাখেন। আর তারা সমন্বয় সাধন করেন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত তাক্বদীরে ঈমান আনয়নের পাশাপাশি বান্দার জন্য ইচ্ছা, চাওয়া ও কার্যক্ষমতা সাব্যস্ত করেন। অনুরূপভাবে তারা সমন্বয় বজায় রাখেন ইলম ও ইবাদতের মধ্যে, শক্তি ও রহমতের মধ্যে, উপায় অবলম্বন করে কাজ করা ও পরহেযগারী করে দুনিয়াবিমুখতার মধ্যে।
৩. অনুসরণ করা ও বিদ'আত পরিত্যাগ করা:[৩] তারা কুরআন সুন্নাহর অনুসরণ করেন, বিদ‘আতকে পরিহার করেন, সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করেন এবং দীনের মধ্যে বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারী সকল পথ বর্জন করেন।
৪. হিদায়াতের ন্যায়পরায়ণ ইমামদের অনুকরণ, অনুসরণ: তারা হিদায়াত পাওয়ার জন্য সাহাবা এবং যারা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, যারা ছিলেন ইলম, আমল ও দাওয়াতের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এমন হিদায়াতের ধারক ও বাহক ইমামদের পথ অনুসরণ করেন এবং যারা উক্ত ইমামদের বিরোধিতা করে তাদেরকে পরিহার করেন।
৫. তারা মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী:[৪] আক্বীদাহ সংক্রান্ত বিষয়ে না তারা অতিরঞ্জিতকারীদের মত, না এ বিষয়কে তুচ্ছ ও অবজ্ঞা পোষণকারীদের মত। এভাবে সমস্ত কাজকর্ম এবং আচার ব্যবহারে তারা বাড়াবাড়ি ও কমতি এ দু'য়ের মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী।
৬. সব সময় তারা মুসলিমদের সত্য পথে একত্রিত করতে সচেষ্ট থাকেন:[৫] আর তারা [আল্লাহ্] তাওহীদ ও [রাসূলের] অনুসরণের উপর মুসলিমদের সকল কাতার একত্রিত করার জন্য এবং তাদের মাঝে অনৈক্যসৃষ্টিকারী সকল কিছুকে দূরীভূত করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। কাজেই দীনের মৌলিক বিষয়গুলিতে মুসলিম উম্মার মধ্যে তাদের বৈশিষ্ট্য শুধু সুন্নাত ও সংঘবদ্ধ জীবন যাপনের মাধ্যমে। আর তারা শুধুমাত্র ইসলাম ও সুন্নাতের ভিত্তিতেই শত্রুতা বা বন্ধুত্ব করেন।
৭. তারা আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করেন। সৎ কাজের আদেশ দেন ও অসৎ কাজের নিষেধ করেন। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেন। দীনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য রাসূলের সুন্নাতকে জীবিত করেন, বিদ‘আতকে দূর করেন। আর তারা ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল পর্যায়ে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।
৮. ইনছাফ প্রতিষ্ঠা করা: তারা ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠিস্বার্থের চাইতে আল্লাহর অধিকারকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা না কারো ভালোবাসায় অতিরঞ্জিত করেন, তারা না কারো দুশমনিতে সীমালঙ্ঘন করেন, আর না কোন মহৎ ব্যক্তির মহত্বকে অস্বীকার করেন।
৯. জ্ঞান আহরণের মূল উৎস কুরআন সুন্নাহ[৬] হওয়ার কারণে তাদের চিন্তা-চেতনা এবং প্রত্যেক অবস্থানের মধ্যে সামঞ্জস্যতা থাকে, যদিও তাদের যুগ বা ভূখণ্ড ভিন্ন হউক।
১০. সকল মানুষের সাথে অনুগ্রহ, দয়া এবং উত্তম আচরণ করা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৭]
১১. আল্লাহ তা'আলা, তার কিতাব-আল কুরআন, রাসূলুল্লাহ ছুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুসলিমদের নেতাগণ এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য নছীহত[৮] করাও তাদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।
১২. মুসলিমদের সমস্যাদির গুরুত্ব দেয়া, তাদেরকে সাহায্য করা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং তাদেরকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকাও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৯]
আরও দেখুন - আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আকীদার সংক্ষিপ্ত মূলনীতি
[১] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭; সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/২১১, ২২৬, ২২৭, ২৩০।
[২] দেখুন-সূরা আল বাকারা ২:২০৮।
[৩] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭।
[৪] দেখুন-সূরা আল বাকারা ২:১৪৩, সূরা আল মায়িদা ৫: ৭৭, ৮৭। সহীহ মুসলিম হা/১৪০১ ৷
[৫] দেখুন-সূরা আলে ইমরান ৩:১০৩
[৬] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৭২৭৭, ৩৪৬১; সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/২১১, ২২৬, ২২৭।
[৭] দেখুন-সূরা আন নাহল ১৬:৯০, সহীহ: তিরমিযী হা/১৯২০, ১৯২২, ২০০২।
[৮] আল্লাহর জন্য নছীহতের অর্থ হলো-তার জন্য শির্কমুক্ত ইবাদত করা, তার নাম ও গুণবাচক নাম সমূহের উপর বিশ্বাস রাখা। কুরআনের জন্য নছীহতের অর্থ কুরআনের পথ ধরে চলা। রাসূলের জন্য নছীহতের অর্থ-তার রিসালাতকে স্বীকার করে নিয়ে তার দেয়া সুন্নাত অনুযায়ী জীবন গঠন করা। দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/৫৫।
[৯] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/২৬৯৯, ২৫৫৯, ২৫৬৩, ২৫৬৪, ২৫৮০।