দেশের কথিত ইসলামি সঙ্গীতের শিল্পীরাও এটি পরিবেশন করে থাকে। এ ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ আশ্চর্যের কিছু দেখলে বা শুনলে বলে উঠে "সবই আল্লাহর লীলা খেলা!" অথচ আল্লাহর শানে “লীলা খেলা” শব্দ প্রয়োগ করা চরম অমর্যাদাকর ও বেয়াদবি। সুতরাং তা ব্যবহার করা জায়েজ নাই।
এর কারণ কী? এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন:
লীলা শব্দের অর্থ: কেলি, প্রমোদ, প্রমোদপূর্ণ ক্রীড়া, দেবতার খেলা (রাসলীলা), দেবতা বা মানুষের নির্দিষ্টকালব্যাপী কার্যকলাপ (জীবলীলা, ভবলীলা, কৃষ্ণের নরলীলা) [bangladict .com]
'লীলা খেলা' শব্দের সাথে হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক গোপীদের সঙ্গে লীলা খেলার এক নোংরা ও অশ্লীল 'প্রেম কাহিনী' জড়িয়ে রয়েছে।
হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, কার্তিক মাসে দুর্গাপুজোর পর পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে 'লীলা'-য় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
এটাকে 'রাসলীলা'ও বলা হয়। রস' শব্দ থেকে 'রাস'-এর উৎপত্তি। 'রস' মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম। [Oneindia .com]
এখান থেকেই আমাদের সমাজে এ কথাটি প্রচলিত যে,
"কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আমরা করলে দোষ!"
মোটকথা, লীলা খেলা শব্দটি সম্পূর্ণ হিন্দু ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং মহান রাজাধিরাজ আল্লাহর শানে এই অশ্লীলতার ইঙ্গিতবাহী হিন্দুয়ানী শব্দটি ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
আরও জানতে পড়ুন -
আল্লাহ তোমার লীলা খেলা কেউ বুঝে তো কেউ বুঝে না...।