Abu Umar
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 664
- Comments
- 1,232
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,379
- Thread Author
- #1
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং হত্যা করা কুফরী।’[1]
হাদীসে বর্ণিত ‘তাকে হত্যা কুফরী’ বাক্যে ‘কুফর’ দ্বারা ‘ছোটো কুফর’ উদ্দেশ্য; যেমনটি ইবন আব্বাস (রা.) উপর্যুক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেছেন। অতএব, মুসলিমের বিরুদ্ধে আরেক মুসলিমের যুদ্ধ, সীমালঙ্ঘন, বাড়াবাড়ি হচ্ছে ফিসক ও কুফর। তবে এখানে ‘কুফর’ দ্বারা আমলগত কুফর উদ্দেশ্য। তবে কখনো তা আকীদা-বিশ্বাসগত কুফর হতে পারে। এ ব্যাপারে সূক্ষ্ম পার্থক্যের কথা আলোচনা করেছেন প্রকৃত শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া এবং তার সুযোগ্য ছাত্র ইবন কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ। কুরআনের মুখপাত্র ইবন আব্বাস (রা.) সংক্ষিপ্তভাবে কুফরের ভাগের যে পতাকা উড্ডীন করেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরতে উভয়ের অবদান অনেক বড়ো। ইবন তাইমিয়া ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়াহ সর্বদা আমলগত কুফর ও বিশ্বাসগত কুফরের মাঝে বিভাজন করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। অন্যথা মুসলিমরা তাদের অজান্তেই শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ফিতনায় জড়িয়ে যেত, যেমনটি অতীতের খারিজী এবং তাদের তল্পিবাহকরা বর্তমানে জড়িত।
‘তাকে হত্যা করা কুফরী’ বাক্যে ‘কুফর’ দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য নেননি। এ বিষয়ে অনেক অনেক হাদীস রয়েছে। কেউ যদি সেসব হাদীস সংকলন করেন, তাহলে অনেক উপকারী একটি বই হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অখণ্ডনীয় দলীল হবে, যারা উপর্যুক্ত আয়াতকে পুঁজি করে ব্যাখ্যা করে যে, আয়াতে কুফর বলতে ‘বিশ্বাসগত কুফর’। অথচ এমন অনেক অনেক স্পষ্ট দলীল রয়েছে, সেসব দলীলে ‘কুফর’ দ্বারা ইসলাম থেকে খারিজকারী কুফর উদ্দেশ্য নেওয়া হয়নি।
আমাদের জন্য এ হাদীসটিই যথেষ্ট। কারণ, তা এ ব্যাপারে অকাট্য দলীল যে, ‘এক মুসলিমের সঙ্গে আরেক মুসলিমের যুদ্ধ করা কুফর’ দ্বারা ‘আমলগত কুফর’ উদ্দেশ্য; ‘বিশ্বাসগত কুফর’ উদ্দেশ্য নয়।
আমরা যদি তাকফীরী জামাআতের দিকে ফিরে যাই এবং শাসক ও তাদের অধীন-সহ তাদের নেতৃতে যারা বসবাস করে তাদেরকে এই তাকফীরী দল কর্তৃক তাকফীর করা নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে দেখতে পাই যে, তাদের তাকফীর করার কারণ হচ্ছে, পাপকাজে জড়িত ব্যক্তিদেরকে পাপের কারণে কাফির মনে করা।[2]
[1] সহীহুল বুখারী, ৪৮; সহীহ মুসলিম, ৬৪
[2] শাইখ ইবন উসাইমীন (রাহি.) বলেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
হাদীসে বর্ণিত ‘তাকে হত্যা কুফরী’ বাক্যে ‘কুফর’ দ্বারা ‘ছোটো কুফর’ উদ্দেশ্য; যেমনটি ইবন আব্বাস (রা.) উপর্যুক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেছেন। অতএব, মুসলিমের বিরুদ্ধে আরেক মুসলিমের যুদ্ধ, সীমালঙ্ঘন, বাড়াবাড়ি হচ্ছে ফিসক ও কুফর। তবে এখানে ‘কুফর’ দ্বারা আমলগত কুফর উদ্দেশ্য। তবে কখনো তা আকীদা-বিশ্বাসগত কুফর হতে পারে। এ ব্যাপারে সূক্ষ্ম পার্থক্যের কথা আলোচনা করেছেন প্রকৃত শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া এবং তার সুযোগ্য ছাত্র ইবন কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ। কুরআনের মুখপাত্র ইবন আব্বাস (রা.) সংক্ষিপ্তভাবে কুফরের ভাগের যে পতাকা উড্ডীন করেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরতে উভয়ের অবদান অনেক বড়ো। ইবন তাইমিয়া ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়াহ সর্বদা আমলগত কুফর ও বিশ্বাসগত কুফরের মাঝে বিভাজন করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। অন্যথা মুসলিমরা তাদের অজান্তেই শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ফিতনায় জড়িয়ে যেত, যেমনটি অতীতের খারিজী এবং তাদের তল্পিবাহকরা বর্তমানে জড়িত।
‘তাকে হত্যা করা কুফরী’ বাক্যে ‘কুফর’ দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য নেননি। এ বিষয়ে অনেক অনেক হাদীস রয়েছে। কেউ যদি সেসব হাদীস সংকলন করেন, তাহলে অনেক উপকারী একটি বই হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অখণ্ডনীয় দলীল হবে, যারা উপর্যুক্ত আয়াতকে পুঁজি করে ব্যাখ্যা করে যে, আয়াতে কুফর বলতে ‘বিশ্বাসগত কুফর’। অথচ এমন অনেক অনেক স্পষ্ট দলীল রয়েছে, সেসব দলীলে ‘কুফর’ দ্বারা ইসলাম থেকে খারিজকারী কুফর উদ্দেশ্য নেওয়া হয়নি।
আমাদের জন্য এ হাদীসটিই যথেষ্ট। কারণ, তা এ ব্যাপারে অকাট্য দলীল যে, ‘এক মুসলিমের সঙ্গে আরেক মুসলিমের যুদ্ধ করা কুফর’ দ্বারা ‘আমলগত কুফর’ উদ্দেশ্য; ‘বিশ্বাসগত কুফর’ উদ্দেশ্য নয়।
আমরা যদি তাকফীরী জামাআতের দিকে ফিরে যাই এবং শাসক ও তাদের অধীন-সহ তাদের নেতৃতে যারা বসবাস করে তাদেরকে এই তাকফীরী দল কর্তৃক তাকফীর করা নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে দেখতে পাই যে, তাদের তাকফীর করার কারণ হচ্ছে, পাপকাজে জড়িত ব্যক্তিদেরকে পাপের কারণে কাফির মনে করা।[2]
[1] সহীহুল বুখারী, ৪৮; সহীহ মুসলিম, ৬৪
[2] শাইখ ইবন উসাইমীন (রাহি.) বলেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।