সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

অন্যান্য আকীকার বিধি বিধান

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
811
Comments
955
Reactions
8,996
Credits
4,100
আকীকা করা মুস্তাহাব, সুন্নাত। [বুখারী, হাদীস নং- ৫৪৭২]

সেটি হলো সন্তানের জন্মের সপ্তম দিনে ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু'টি ছাগল আর মেয়ে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দেয়া। [তিরমিযী হাদীস নং- ১৫১৩, সহীহ]

সপ্তম দিনেই সন্তানের আকীকা দিবে, নাম রাখবে, মাথা মুণ্ডন করবে। [আবূ দাউদ, হাদীস নং- ২৮৩৮, তিরমিযী, হাদীস নং- ১৫২২, ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩১৬৫; সহীহ] যে সন্তানের আকীকা দেয়া হবে না, জন্মের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহনীক (খেজুর বা মিষ্টি জাতীয় কিছু চিবিয়ে শিশুর মুখে দেয়া) করা। [বুখারী, হাদীস নং- ৫৪৬৭-৫৪৭০]

সেই চুলের ওজনের সমপরিমাণ সোনা রূপা ফকীর, মিসকীনের মাঝে ছ্বদাকাহ করবে, সোনা নয়। কেননা সোনা ছ্বদাকাহ করার হাদীস যঈফ। [শারহুদ দুরারুল বাহিয়্যাহ, যায়েদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে হাদী আল মাদখালী পৃ. ৬১৩] অথবা রূপা ছ্বদাকাহ করবে। [তিরমিযী, হাদীস নং- ১৫১৯, মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৯০, সুনানুল কুবরা বাইহাকী ৯/৩০৪, আল উরওয়া হাদীস নং- ১১৭৫; হাসান]

তবে কোন কারণে ৭ম দিনে আকীকা করা সম্ভব না হলে ১৪তম দিনে অথবা ২১তম দিনে দেয়া উত্তম। এ ব্যাপারে হাদীস হল,
বুরাইদা ইবনে সুহাইব আল আসলামী রা. হতে বর্ণিত। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আকীকা ৭ম দিনে জবাই করতে হবে, অথবা ১৪ দিনের দিনে অথবা ২১ দিনের দিনে।” [সহীহুল জামে, ৪২৩২, শাইখ আলবানী। আল জামে আস সাগীর ৫৬৮১]

২১ দিনের দিন আকীকা সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে, জীবনের যে কোন সময় আকীকা করা বৈধ। এমনকি নিজের আকীকা নিজেও দেয়া জায়েয়। এ মর্মে হাদীস হল:

আনাস বিন মালিক রা. বলেন, “রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবী হওয়ার পর নিজের আকীকা নিজেই করেছেন।” [শাইখ আলবানী উক্ত হাদীসটিকে একাধিক সনদের সমন্বয়ে হাসান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সিলসিলা সহীহা/ ২৭২৬]

তবে এ হাদীসটিকে অনেক মুহাদ্দিস যঈফ/দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করায় তাদের মতে নিজের আকীকা নিজে দেয়া জায়েয নয়। কিন্তু ইমাম আলবানী সহ আরেকদল মুহাদ্দিস হাদিসটি একাধিক সনদে বর্ণিত হওয়ার ভিত্তিতে এটিকে ‘হাসান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

নিজের আকীকা নিজে দেয়ার ব্যাপারে সালাফ/পূর্বসূরীদের বক্তব্য:

ইমাম মুহাম্মদ বিন সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি যদি জানতে পারি যে, আমার আকীকা করা হয় নি তাহলে নিজের পক্ষ থেকে আকীকা দিব।” [মুসান্নাফ ইবনে শায়বা]

ইমাম হাসান বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “যদি তোমার পক্ষ থেকে আকীকা না করা হয়ে থাকে তাহলে তুমি নিজেই আকীকা কর যদিও তুমি পরিণত বয়সের মানুষে পরিণত হও।” [মুহাল্লা-ইবনে হাযম, শাইখ আলবানী এটিকে হাসান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন]
 
Last edited:
COMMENTS ARE BELOW
Top